রোহতকে হরিয়ানা বনাম রাজস্থান রঞ্জি ট্রফি এলিট-এ গ্রুপের ম্য়াচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার। তবে মন্দ আবহাওয়ায় ম্যাচের প্রথম দু'দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়। তৃতীয় দিনে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় শুরু হয় ম্যাচ। তবে সারা দিনে খেলা হয় মোটে ৪২ ওভার।
রোহতকের পিচ বরাবর বোলারদের সাহায্য করে। রবিবার স্বাভাবিকভাবেই টস জিতে হরিয়ানাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান। রবিবার যতটুকু সময় খেলা হয়েছে, দাপট দেখা গিয়েছে রাজস্থানের বোলারদের। তবে একা দেওয়াল হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটকিপার-ব্যাটার রোহিত শর্মা।
দুই ওপেনার বেদান্ত ভরদ্বাজ ও অঙ্কিত কুমার দলকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। বেদান্ত ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ৯ রান করে আউট হন। অনিকেত চৌধরীর বলে করণ লাম্বার হাতে ধরা পড়েন তিনি। অঙ্কিত ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৮ বলে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। মানব সুতারের বলে মহীপাল লোমরোরের হাতে ধরা দেন তিনি।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হিমাংশু রানা ১৫ বলে ১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনিও মানবের বলে লোমরোরের হাতে ধরা পড়ে যান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২ বলে ১ রান করে উইকেট খোয়ান নিশান্ত সিন্ধু। অনিকেতের বলে উইকেটকিপার কুণাল সিং রাঠোরের দস্তানায় ধরা পড়েন তিনি।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন অশোক মেনারিয়া ৪৮ বলে ১৮ রান করেন। তিনি ৩টি চার মারেন। রাহুল চাহারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ক্রিজ ছাড়েন হরিয়ানা দলনায়ক। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খাতা খুলতে পারেননি রাহুল তেওয়াটিয়া। মাত্র ৬ বল স্থায়ী হয় তারকা অল-রাউন্ডারের ইনিংস। তেওয়াটিয়াকেও সাজঘরে ফেরান চাহার। তিনি উইকেটকিপার রাঠোরের দস্তানায় ধরা দেন।
সুমিত কুমারকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময়টুকু নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় দিনের শেষে হরিয়ানা তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তোলে। ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ৩৮ রান করে নট-আউট থাকেন। ৮৩ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মেরেছেন। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামা সুমিত ২৮ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তৃতীয় দিনে রাজস্থানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার, অনিকেত চৌধরী ও মানব সুতার। উইকেট পাননি খলিল আহমেদ ও মহীপাল লোমরোর।