সত্যি হল আশঙ্কা। শনিবার রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল ৭৫ শতাংশ। সেই মতো আরসিবি বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি নামে চিন্নাস্বামীতে। ফলে থমকে যায় আইপিএল ২০২৪-এর মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।
বৃষ্টি নামা মাত্রই আতঙ্কের চোরা স্রোত বয়ে যায় আরসিবি সমর্থকদের শিরদাঁড়ায়। কেননা ম্যাচ যদি ভেস্তে যায়, তাহলে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। খেলা পরিত্যক্ত হলে প্লে-অফের টিকিট হাতে পাবে চেন্নাই সুপার কিংস।
১৩ ম্যাচে চেন্নাইয়ের সংগ্রহে রয়েছে ১৪ পয়েন্ট। ১৩ ম্যাচে আরসিবির খাতায় রয়েছে ১২ পয়েন্ট। বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে গেলে উভয় দলকে ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে দেওয়া হবে। সুতরাং, এক পয়েন্ট পেলেই চেন্নাই সুপার কিংস ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের।
অন্যদিকে ১ পয়েন্ট পেলে আরসিবির সংগ্রহ দাঁড়াবে ১৪ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট। ফলে এবারের মতো টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে বিরাট কোহলিদের। বেঙ্গালুরুকে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে হলে এই ম্যাচে অন্তত ১৮ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নিতে হবে। তার কম ব্যবধানে ম্যাচ জিতেও কোনও লাভ হবে না আরসিবির। সেক্ষেত্রে চেন্নাই ও আরসিবির সংগৃহীত পয়েন্ট সমান হবে এবং নেট রান-রেটে এগিয়ে থাকায় প্লে-অফে যাবে চেন্নাই।
কোহলিরা অন্তত ১৮ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতলে সিএসকে ও আরসিবি, উভয় দলের খাতায় থাকবে ১৪ পয়েন্ট করে। সেক্ষেত্রে নেট রান-রেটে চেন্নাইকে টপকে প্লে-অফের টিকিট হাতে পারে বেঙ্গালুরু।
শনিবার চিন্নাস্বামীতে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় চেন্নাই দলনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে। টস জিতে তিনি হোম টিম বেঙ্গালুরুকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। আরসিবির হয়ে যথারীতি ওপেন করতে নামেন বিরাট কোহলি ও ফ্যাফ ডু'প্লেসি। চেন্নাইয়ের হয়ে নতুন বলে দৌড় শুরু করেন তুষার দেশপান্ডে।
তুষারের প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করে আরসিবি। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন শার্দুল ঠাকুর। তাঁর ওভারে ১টি চার মারেন কোহলি। ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ফ্যাফ। সেই ওভারে ১৬ রান ওঠে। তৃতীয় ওভারে পুনরায় বল করতে আসেন দেশপান্ডে। তাঁর ওভারে ২টি ছক্কা মারেন কোহলি। তৃতীয় ওভারে ১৩ রান ওঠে।
আরসিবি ৩ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩১ রান তোলার পরে বৃষ্টি নামে বেঙ্গালুরুতে। ফলে খেলা থমকে যায় সাময়িকভাবে। ম্যাচ থমকানোর সময় কোহলি ৯ বলে ১৯ রান করেছেন। ৯ বলে ১২ রান করেন ডু'প্লেসি।