ওপেনার শুভম রোহিলা ও সূরজ বসিষ্ঠের জুটিতে নতুন ইতিহাস গড়ল সার্ভিসেস। এ দিনের ম্য়াচে শুভম রোহিলা অপরাজিত ২০৯ রান এবং সূরজ বসিষ্ঠ অপজারিত ১৫৪ রান করেছিলেন। এই জুটিতেই ৩৭৬ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সার্ভিসেস। এর ফলে শুভম রোহিলা ও সূরজ বসিষ্ঠ দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট না হারিয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার নতুন রেকর্ড গড়ল সার্ভিসেস।
প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট না হারিয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার নজির:
৩৭৬ - সার্ভিসেস ওড়িশাকে হারিয়েছে, ২০২৫*
৩৩১ - সারগোধা লাহোর সিটিকে হারিয়েছে, ১৯৯৯
২৭৬ - নিউ সাউথ ওয়েলস সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, ১৯৬৫
২৩৪ - ফ্রি স্টেট ইস্ট প্রভিন্সকে হারিয়েছে, ১৯২৭
২৩৩ - ল্যাঙ্কাশায়ার সাসেক্সকে হারিয়েছে, ১৯৪৭
২৩২ - আয়ারল্যান্ড এসেক্সকে হারিয়েছে, ২০২৩
তবে এই ম্যাচে আরও একটি নজির গড়েছে সার্ভিসেস। এই ম্যাচে রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া করার নজির গড়েছে সার্ভিসেস। রবিবার কটকে ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩৭৬ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করে জয়ের স্বাদ পেয়েছে সার্ভিসেস।
আরও পড়ুন… Guinness World Records title: সবচেয়ে দূরে কুঠার নিক্ষেপ করে ইতিহাস গড়লেন ওসমান গুরচু
সার্ভিসেসের এই সাফল্য শুধুমাত্র রেলওয়েজের ২০২৪ সালে আগরতলায় ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ৩৭৮ রানের সফল রান তাড়ার পরেই রয়েছে। ওপেনার সূরজ বসিষ্ঠ (১৫৪ অপরাজিত) এবং শুভম রোহিলা (২০৯ অপরাজিত) চতুর্থ ইনিংসে সফল রান তাড়ায় ৩৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তোলেন, যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।
ওড়িশা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৪ রান সংগ্রহ করার পর সার্ভিসেসকে এই কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে হত। ওড়িশার হয়ে অনিল পারিদা ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে সন্দীপ পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন দল মাত্র ১৮০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল, যেখানে সার্ভিসেসের ডানহাতি মিডিয়াম পেসার পুনম পুনিয়া ৪টি উইকেট শিকার করেন।
আরও পড়ুন… ISL 2024-25: শুভাশিস ও মনবীরের জোড়া গোল, ১০ জনের মহমেডানকে ৪-০ হারাল মোহনবাগান
জবাবে সার্ভিসেস প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৯ রান সংগ্রহ করেছিল। যেখানে রবি চৌহানের ১২০ রানের ইনিংস তাদের ১৯ রানের ছোট লিড এনে দেয়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে ব্যাটিংয়ে নামতেই হয়নি, কারণ বসিষ্ঠ ও রোহিলা নিজেদের অসাধারণ ব্যাটিং দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এই সাত পয়েন্টের জয় সার্ভিসেসকে গ্রুপ ‘এ’-এর পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে নিয়ে যায়, অন্যদিকে ওড়িশা ষষ্ঠ স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে। তবে উভয় দলই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়, কারণ এই গ্রুপ থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং মুম্বই পরবর্তী পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।