গত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মাঝপথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের টেস্ট দলে অশ্বিনের খামতি ঢাকার মতো স্পিনার অল-রাউন্ডারের অভাব নেই। অক্ষর প্যাটেল ও ওয়াশিংটন সুন্দর টেস্ট দলে আরও বেশি করে সুযোগের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। মুম্বইয়ের তনুষ কোটিয়ানও যে জাতীয় নির্বাচকদের ভাবনায় রয়েছেন, সেটা বোঝা যায় অজি সফরেই। অশ্বিন অবসর নেওয়ার পরেই তনুষকে জাতীয় দলে ডেকে নেন অজিত আগরকররা।
তবে এবারের রঞ্জি ট্রফিতে যে রকম চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স উপহার দেন বিদর্ভের হর্ষ দুবে, তাতে পরবর্তী টেস্ট স্কোয়াড নির্বাচনের সময় আগরকরদের ভাবনায় নিশ্চিতভাবেই থাকবেন ২২ বছর বয়সী এই স্পিনার অল-রাউন্ডার। এবারের রঞ্জি ট্রফিতে বিদর্ভের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে ব্যাটে-বলে সব থেকে বড় অবদান রাখেন হর্ষ দুবে।
হর্ষ টুর্নামেন্টের ১০টি ম্যাচের ১৮টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৪৭৬ রান সংগ্রহ করেন। কোনও সেঞ্চুরি না করলেও দুবে মোট ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি টুর্নামেন্টে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১২টি ছক্কা হাঁকান। তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৭৬ রানের।
আরও পড়ুন:- চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সব থেকে বেশি রান, কালিস ও রুটকে টপকে ৬-এ উঠলেন বিরাট কোহলি
হর্ষ দুবে এবারের রঞ্জি ট্রফির ১০টি ম্যাচের ১৯টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ৬৯টি উইকেট সংগ্রহ করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রঞ্জি ট্রফির একটি মরশুমে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার সর্বকালীন রেকর্ড গড়েন হর্ষ দুবে। তিনি এবারের রঞ্জিতে ইনিংসে ৫ উইকেট নেন ৭ বার। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচে ১০ উইকেট দখল করেন ২ বার। এক ইনিংসে তাঁর সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ৩৬ রানে ৬ উইকেট।
ব্যাটে-বলে এমন দাপুটে পারফর্ম্যান্সের সুবাদে এবারের রঞ্জি ট্রফির সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন হর্ষ দুবে। রঞ্জির প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়ে হর্ষ নিশ্চিতভাবেই জাতীয় টেস্ট দলে জায়গা করে নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাখলেন।
এবারের রঞ্জি ট্রফিতে হর্ষ দুবের বোলিং পারফর্ম্যান্স
১. বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ- প্রথম ইনিংসে ৫২ রানে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৯ রানে ৪ উইকেট।
২. বনাম পুদুচেরি- প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ রানে ৪ উইকেট।
৩. বনাম উত্তরাখণ্ড- প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে ২ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে ৬ উইকেট।
৪. বনাম হিমাচলপ্রদেশ- প্রথম ইনিংসে ৭১ রানে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে ৬ উইকেট।
৫. বনাম গুজরাট- প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে ১ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে ২ উইকেট।
৬. বনাম রাজস্থান- প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট।
৭. বনাম হায়দরাবাদ- প্রথম ইনিংসে ৫৭ রানে ২ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ রানে ৬ উইকেট।
৮. বনাম তামিলনাড়ু (কোয়ার্টার ফাইনাল)- প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে ১ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ রানে ৩ উইকেট।
৯. বনাম মুম্বই (সেমিফাইনাল)- প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানে ২ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৭ রানে ৫ উইকেট।
১০. বনাম কেরল (ফাইনাল)- প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষ দল ব্যাটই করেনি।