সাম্প্রতিক সময় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের ব্যবহার। এবছরে গৌতম গম্ভীর দলের মেন্টর পদে যোগ দেওয়ার পর আর নতুন করে কোনও সমস্যা না হলেও তিনি তো ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ফলে গম্ভীর আর কেকেআরে থাকবেন না আগামী বছর, ফলে আবারও একটা অশান্তির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে ক্রিকেটমহল। এই আবহেই এবার কেকেআর দলের এক ইংরেজ ক্রিকেটারকে প্রশ্ন করা হল চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কথাবার্তা ব্যবহার নিয়ে, তিনি অবশ্য দরাজ সার্টিফিকেটই দিলেন দলের কোচকে। বেশ কয়েকজন ভারতীয় এবং বিদেশি ক্রিকেটার চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহেই এবার কেকেআরের কোচের পাশে দাঁড়ালেন দলের তারকা ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন-‘নেই ম্যাকলারেন,মার্টিনস’! তবু ডুরান্ডের শেষ আটে পঞ্জাবকে হারাতে মরিয়া মোলিনার মোহনবাগান…
ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের তারকা ওপেনার ফিল সল্ট সম্প্রতি ভারতে এসেছিলেন একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানেই ফিল সল্টকে প্রশ্ন করা হয়, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে নিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তরেই ফিল সল্ট বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা নেই। আমি একটা কথা বলতে পারি , প্রথম দিন থেকেই আমি যেটুকু দেখেছি চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে, তাতে একটা কথা বলতে পারি। উনি ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা ভালো বোঝেন। কখন কারোর পাশে হাত রাখতে হয়, আবার কখনও কঠোর হতে হয়, সেটা ভালোই জানেন কোচ। আমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভালো। এখনও আমার সঙ্গে ওনার মেসেজে কথা হয়। উনি প্রচুর ক্রিকেট দেখে, ফলে সব সময়ই খেলা নিয়ে খবর রাখেন ’।
আরও পড়ুন-মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ যোগীর রাজ্যে! ২ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল…
কেকেআর ছেড়ে টি২০ বিশ্বকাপের আগে দেশে ফিরতে হয়েছিল আইপিএলের শেষ ল্যাপের আগে। সেই নিয়ে সল্ট বলছেন, ‘আমার মনে হয় আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় যখন তুমি নিজের সেরাটা দিতে শুরু কর, তখন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তোমায় সব ম্যাচই খেলতে হবে। আমিও সেটাই চেয়েছিলাম সব বড় ম্যাচে খেলতে। চেষ্টা করেছিলাম চাপের মূহূর্তগুলোয় দলের সঙ্গে থাকার। এটাই একজন ক্রিকেটারের চিন্তাভাবনা থাকে'।
কেকেআর দলে তাঁর প্রভাব না পড়লেও, তাঁর দলের সঙ্গে থাকা উচিত ছিল বলেই মনে করছেন ইংরেজ ওপেনার। ফিল সল্ট বলছেন, ' আমি অবশ্যই অত্যন্ত অখুশি ছিলাম এভাবে আইপিএল ছেড়ে যেতে হওয়ায়, কারণ আমার কাজ অসমাপ্ত ছিল। তবে আমি যেখানে ছেড়ে গেছি, সেখান থেকেই দলের ছেলেরা ভালো খেলা ধরে নিয়েছে। আর যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স দল ’।