ঋষভ পন্ত কতটা ডাকাবুকো ব্যাটার, সেটা একদিনে জানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলের। একদা জেমস অ্যান্ডারসনকে যেভাবে উদ্ভাবনী শটে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছিলেন পন্ত, তাতে ব্রিটিশ ক্রিকেটমহলও ঋষভের ভয়ডরহীন মানসিকতা সম্পর্কে অতি পরিচিত। ব্যাজবল জমানায় ব্রিটিশ ব্যাটাররা যে রকম আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করেন, তাতে ঋষভ পন্তের খেলার ধরণ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মনে ধরাই স্বাভাবিক। সঙ্গত কারণেই ব্রিটিশ তারকা হ্যারি ব্রুকের মুখে প্রশংসা শোনা গেল পন্তের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের।
আসলে অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে চাপের মুখে ব্যাট করতে নামা পন্ত যেভাবে প্রথম বলেই স্টেপ-আউট করে স্কট বোল্যান্ডকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান, তা মনে ধরেছে ব্রুকের। তিনি স্পষ্ট জানান যে, শুধুমাত্র টিকে থাকার জন্য ক্রিজে আঁকড়ে পড়ে থাকার কোনও মানে হয় না।
অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত মাত্র ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। ১৪.৩ ওভারে স্কট বোল্যান্ডের বলে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির দস্তানায় ধরা পড়েন বিরাট কোহলি। তার পরেই ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ঋষভ পন্ত। তিনি মাঠে নেমে প্রথম বলেই স্টেপ-আউট করে চার মারেন বোল্যান্ডকে।
আরও পড়ুন:- ধোয়া তুলসিপাতা ছিলেন না ট্র্য়াভিস হেড, তাহলে একা সিরাজকে কেন জরিমানা করল ICC?
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েলিংটন টেস্টে জয়ের পরে এই প্রসঙ্গে ব্রুক বলেন, ‘আমি জানি না আপনারা দেখেছেন কিনা, গত রাতে প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসে পন্ত।’ আসলে ব্রুক পন্তের এমন মানসিকতার সঙ্গে তাঁদের ব্যাজবল শৈলীর মিলের দিকটি তুলে ধরতে চান।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম হেড কোচ হওয়ার পরেই টেস্টে অত্যন্ত আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং শুরু করে ইংল্যান্ড। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই এটা পছন্দ নয়। কেননা বাড়তি আগ্রাসী হতে গিয়ে ইংল্যান্ড অনেক সময় ম্যাচ হেরে বসে। বছরের শুরুতে ভারত সফরেও সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পায় ইংল্যান্ড। তার পরেই সব ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয় বেন স্টোকসদের। ব্যাজবল ক্রিকেটে ইংল্য়ান্ডের খেলা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সন্দেহ নেই, তবে তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে আগেই। তাই বিশেষজ্ঞদের মত, যদি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে না পারে, তাহলে ব্যাজবল শৈলীর কার্যকরীতা কোথায়?
আরও পড়ুন:- SMAT 2024: কবে-কোথায়-কাদের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে বাংলা?