শুক্রবার একানায় লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জয়ের চেষ্টায় চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারা ম্যাচের একেবারে শেষবেলায় ক্রিজের সেট ব্যাটার তিলক বর্মাকে তুলে নিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে ব্যাট করতে পাঠায়। যদিও তিলকের রিটায়ার্ড আউট হওয়া এক্ষেত্রে জলে যায়। মুম্বই তার পরেও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হয়।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য যখন ৭ বলে ২৪ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের, হার্দিকরা ক্রিজের সেট ব্যাটার তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর বদলে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মিচেল স্যান্টনার। ম্যাচের শেষে মুম্বই কোচ তিলককে ডেকে নেওয়ার কারণও জানান।
জয়াবর্ধনে দাবি করেন যে, স্লগ ওভারে তিলক মারতে পারছিলেন না বলেই তাঁকে তুলে নিয়ে ফ্রেশ কাউটে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এটা নিছকই কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানাতেও ভোলেননি মাহেলা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ক্রিকেটার জীবনে জয়াবর্ধনে নিজেও রিটায়ার্ড আউট হয়েছিলেন। তবে আইপিএলে নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ২৪ বছর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে জয়াবর্ধনে দেড়শো রান পূর্ণ করার পরেই তাঁকে তুলে নেয় শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজমেন্ট।
জয়াবর্ধনে কবে রিটায়ার্ড আউট হন
২০০১ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বর্তমান হেড কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৫০ রানে পৌঁছনোর পরে রিটায়ার্ড আউট হয়েছিলেন। একই ম্যাচের সেই ইনিংসেই মার্ভান আতাপত্তু ২০০ রানে পৌঁছনোর পরে রিটায়ার্ড আউট হন। সেই টেস্টে শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে অল-আউট হয়।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৫৫৫ রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। আতাপত্তু ২৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫৯ বলে ২০১ রান করে রিটায়ার্ড আউট হন। জয়াবর্ধনে ২৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৫ বলে ১৫০ রান করে রিটার্য়ার্ড আউট হন। বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৮ রানে অল-আউট হয়। শ্রীলঙ্কা এক ইনিংস ও ১৩৭ রানে ম্যাচ জেতে।
সেই সময় টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ছিল নবাগত দল। তাই 'ছোট দল' বাংলাদেশকে অসম্মান করা হয়েছে বলে সেই সময় জলঘোলা হয় বিস্তর। শ্রীলঙ্কা দলকে পরে ক্ষমাও চাইতে হয়। জয়াবর্ধনেরা বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত বলে সাফাই দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন ছিলেন সনৎ জয়সূর্য। সুতরাং, এবার তিলককে রিটায়ার্ড আউট করা জয়াবর্ধনে একদা নিজেও ছিলেন ভুক্তভোগী।