ভারতীয় দল এজবাস্টন টেস্টে মোট তিনটি পরিবর্তন করেছে প্রথম একাদশে। টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে এসেছেন ওয়াসিংটন সুন্দর, নীতীশ রেড্ডি এবং আকাশদীপ। এর মধ্যে আকাশদীপ এবং নীতীশ রেড্ডির পরিবর্তন হয়ে আশাটা একপ্রকার অবধারিত ছিল। কারণ বুমরাহকে বিশ্রাম দিতে গেলে আকাশদীপকেই আনতে হত। আর শার্দুল ঠাকুর ব্যর্থ হওয়ার জন্য আরেক অলরাউন্ডার নীতীশ রেড্ডিকে দলে নেওয়া হয়। কিন্তু এজবাস্টনে এক ব্যাটার কম খেলিয়ে এক অলরাউন্ডারকে বেশি খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
সাই সুদর্শনের পরিবর্তে ওয়াসিংটন সুন্দরকে দলে নেওয়া হয়, যিনি বোলিংয়ের পাশাপাশি সেকন্ড স্পিনারের কাজটাও সামলাতে পারবেন। যদিও কুলদীপকে না নিয়ে সুন্দরকে খেলানোয় বিষয়টি খুব একটা মনে ধরেনি সুনীল গাভাসকরের। যদিও আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান কিন্তু এক্ষেত্রে এক সময়ের সতীর্থ গৌতম গম্ভীরের সিদ্ধান্তের সঙ্গেই সহমত।
গাভাসকর বলেছিলেন, ‘যদি টপ অর্ডারের ব্যাটাররা রান না পায়, তাহলে সাত বা আটে নেমে সুন্দর বা নীতীশ রেড্ডি নিশ্চয় তেমন রান করবে না। প্রথম টেস্টে কিন্তু ওরা ব্যর্থ হয়নি, ভারতীয় দল প্রায় ৮৩০ রান করেও হেরেছিল। সেটা অনেক রান ছিল, তাই উইকেট তোলার ডিপার্টমেন্টে ভারতের জোর দেওয়া উচিত ছিল ’।
যা শুনে পাঠান অবশ্য বলছেন, ‘আমি এটা মানতে চাই না যে ওয়াসিংটন সুন্দরকে খেলানো কোনও নেতিবাচক সিদ্ধান্ত ছিল। এটা একটা চেষ্টা করা হয়েছে, যা লোয়ার অর্ডারে একটু ব্যাটিংয়ের সুযোগ তৈরি হয় বা খারাপ সময় যাতে প্রতিরোধ গড়া যায়। ভুলে গেলে চলবে না ও কিন্তু বলেও অবদান রাখবে, বিশেষ করে ইংরেজ ব্যাটারদের বিপক্ষে স্পিন বোলিং একটা অস্ত্র ’।
ভারতীয় দল আপাতত সিরিজে ০-১ ফলে পিছিয়ে রয়েছে। তাই টিম ইন্ডিয়ার কাছে এই টেস্ট একপ্রকার মাস্ট উইন না ড্র। কিন্তু হারলে কোনওভাবেই চলবে না। এই অবস্থায় ব্যাটাররা তো প্রথম দিনে নিজেদের কাজ মোটামুটি সামলে দিয়েছেন। বোলাররাও যদি একটু ভালো খেলা দেখাতে পারেন, তাহলে শুভমন গিলের পায়ের তলার মাটিও এই টেস্ট থেকে শক্ত হতে শুরু করবে।