আইপিএল ২০২৫-এ বিরাট কোহলির ব্যাটে একেবারে রানের ফুলঝুরি। এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত তিনি ৯ ম্যাচে ৬৫ গড়ে এবং ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৯২ রান করে ফেলেছেন। এই মরশুমে, সাই সুদর্শনের পরে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ইতিমধ্যে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েও বড় দাবীদার কোহলি। তবে কোহলির এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের পেছনের আসল রহস্য কী জানেন?
কোহলির সঙ্গে হনুমানজি
বিরাট কোহলির দুরন্ত পারফরম্যান্সের পেছনের আসল কারণ কি হনুমানজি? একেবারেই ঠিক শুনেছেন। আসলে, বিরাট কোহলির দুরন্ত পারফরম্যান্সের পেছনের আসল কারণ কি হনুমানজি? আসলে ২৭ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কোটলায় দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে। আর সেই ম্যাচ খেলতে দিল্লি উড়ে যাওয়ার সময়ে কোহলির একটি ছবি শেয়ার করেছে আরসিবি। সেই ছবিতে তাঁকে গোলাপি টি-শার্ট পরে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে দেখা গিয়েছে। আর তাঁর ব্যাগের স্ট্র্যাপে একটি ভগবান হনুমানের ছোট্ট মূর্তি ঝুলতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সামনে দুর্গম গিরি, তবু IPL 2025-এর প্লে-অফে এখনও উঠতে পারে CSK, জেনে নিন কোন সমীকরণে
প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি প্রায়শই এই মূর্তিটি নিয়ে ভ্রমণ করেন। চলতি আইপিএল মরশুমেও, প্রতিটি ম্যাচেই তিনি এই মূর্তিটি বহন করছেন। আর কোহলির আস্থাই তাঁকে সাফল্য পেতে সাহায্য করছে বলে মতামত নেটিজেনদের। যদিও, এটি বৈজ্ঞানিক ভাবে একেবারেই যুক্তিযুক্ত বিষয় নয়। তবে কোহলির আস্থাকে অস্বীকার করা যায় না। এর আগেও ভগবানের দর্শনের পর তাঁকে সেঞ্চুরি করতে দেখা গিয়েছে।
এই বছরের জানুয়ারিতে বিরাট কোহলি কৃষ্ণনগরী বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন এবং প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেও প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কোহলি এবং তার পর ১৬০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির খরাও শেষ করেছিলেন তিনি। এর পর এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন এবং তার পর ২০২৩ বিশ্বকাপে ৭০০-এরও বেশি রান করে তিনি সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেন।
আরও পড়ুন: MI এখন KKR-এর অনুপ্রেরণা, PBKS-এর বিরুদ্ধে নামার আগে মইনের দাবি, ‘বেশির ভাগ ম্যাচই জিততে হবে’
বিরাট কোহলির দুরন্ত ফর্ম কি আরসিবি-কে প্লে অফে পৌঁছে দিতে পারবে?
এই মরশুমে আরসিবি এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে ৬টিতে জিতেছে। এখন প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জনের জন্য তাদের আর মাত্র ২টি জয়ের প্রয়োজন। বেঙ্গালুরুর হাতে রয়েছে আরও ৫টি ম্যাচ। এবং আরসিবি যেভাবে খেলছে, তাতে মনে হচ্ছে, তাদের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠাটা খুব কষ্ঠের হবে না। যদি এটি ঘটে, তাহলে কোহলির ভূমিকা সবচেয়ে বড় হবে, কারণ তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাছাড়া, তিনি যে সব ম্যাচেই পারফর্ম করেছেন এবং অর্ধশতরান করেছেন, সেগুলিতেই বেঙ্গালুরু জিতেছে।