চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রবিবার মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অপরাজিত ভারত। গ্রুপ পর্বের টানা তিনটি ম্যাচে জয়ের পর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছেন রোহিত শর্মারা। ভারত তাদের সব ম্যাচগুলি দুবাইতে খেলেছে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খারাপ ফর্মে নেই নিউজিল্যান্ডও। গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ বাদে এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। বিশেষ করে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাদের পারফরম্যান্স দেখে কোনওভাবেই পিছিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে দুবাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পিচে খেলা হবে ফাইনাল বলেই শোনা যাচ্ছে। ক্রিকবাজের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পিচ ধীর এবং মন্থর হবে। পাশাপাশি স্পিনারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকতে পারে উইকেটে। ফাইনালে যে পিচটি ব্যবহার করা হবে, তা হল সেন্টার উইকেট। দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোট ১০টি পিচ রয়েছে, যা অস্ট্রেলিয়ার কিউরেটর ম্যাথিউ স্যান্ডেরি তৈরি করেছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যবহৃত প্রতিটি পিচের জন্য দুই সপ্তাহের ‘বিশ্রাম’ নীতি ব্যবহার করেছে। আট দলের টুর্নামেন্টে ব্যবহৃত চারটি পিচকেই খেলা শুরু হওয়ার আগে দুই সপ্তাহের ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছিল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দুবাইয়ে বেশ কয়েকটি ILT20 খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাই পিচগুলিতে ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। দুবাইয়ের ম্যাচগুলিতে এখনও ৩০০-এর বেশি স্কোর দেখা যায়নি। সর্বোচ্চ স্কোরটি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সেমিফাইনালে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ভারত ২৬৫ রান তাড়া করেছিল। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সেমিফাইনালের জন্য ব্যবহৃত পিচটি একেবারে নতুন ছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যবহৃত পিচগুলি যাতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ বিশ্রাম দেওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করেছিলেন কিউরেটর এবং গ্রাউন্ড স্টাফরা। এমনকী যখন ILT20 চালু ছিল, তখনও ভারত বনাম বাংলাদেশ খেলার জন্য ব্যবহৃত পিচটি ম্যাচের আগের দুই সপ্তাহ ব্যবহার করা হয়নি। এরপরের নির্ধারিত ফিক্সচারের জন্যও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। ILT20 চলছিল, কিন্তু গ্রাউন্ড স্টাফদের নজর ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উপর। শুধু স্কোয়ার নয়, আউটফিল্ডকেও অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, আর সেই কারণেই এত ক্রিকেটের পরেও আউটফিল্ড ভালো অবস্থায় আছে।’
তারইমধ্যে ভারতীয় তারকা শুভমন গিল বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না যে উইকেট কোনওরকম আলাদা আচরণ করবে। আমরা এখানে ৩০০ রান উঠতে দেখিনি। আমার মতে, আবহাওয়া (সম্প্রতি তাপমাত্রা বেড়েছে) যাই হোক না কেন, আমরা যেমন পিচে খেলে আসছি. আজও সেরকম থাকবে উইকেট।’