আধুনিক ক্রিকেটে উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত সব ক্যাচ ধরতে দেখা গিয়েছে কিপারদের। আবার কিপারদের অতি সহজ ক্যাচ মিস করতেও দেখা যায় হামেশাই। তবে রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে যেভাবে ক্যাচ ধরলেন পাকিস্তানের যুব দলের উইকেটকিপার সাদ বেগ, তেমনটা কদাচিৎই চোখে পড়ে।
এক্ষেত্রে ভাগ্য বোলার ও কিপারের সঙ্গ দেয় বলা চলে। নিছক দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতের ওপেনার আদর্শ সিংকে।
রবিবার দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। টস জিতে ভারতকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান পাক দলনায়ক তথা উইকেটকিপার সাদ। ভারত মাত্র ৪৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। সেখান থেকে ক্যাপ্টেন উদয় সাহারানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান ওপেনার আদর্শ সিং।
ইতিমধ্যে আদর্শ ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ বলে ৫০ রানের গণ্ডি টপকান। শেষে ইনিংসের ৩২তম ওভারে পাকিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফত মিনহাসের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন আদর্শ।
৩১.২ ওভারে আরাফতের অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে জোরালো সুইপ শট মারার চেষ্টা করেন আদর্শ। বল ব্যাটে ঠিক মতো কানেক্ট হয়নি। বল আদর্শর ব্যাটের কানায় লেগে প্রথমে উইকেটকিপারের বক্সে গিয়ে আঘাত করে। পরে সেখান থেকে ছিটকে কিপারের দু'পায়ের ফাঁকে আটকে যায় বল। অম্পায়ার এক্ষেত্রে বোলার-কিপারের আবেদনা সাড়া দিয়ে আঙুল তোলেন। ফলে ব্যক্তিগত ৬২ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় আদর্শকে। ৮১ বলের কার্যকরী ইনিংসে ভারতের ওপেনার ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ভারত দলগত ১৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায়।
ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেনার আদর্শ ছাড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেন সচিন ধাস ও ক্যাপ্টেন উদয় সাহারান। সচিন ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। উদয় ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৮ বলে ৬০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন।
পাকিস্তানের ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির পেসার মহম্মদ জীশান ১০ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৪৬ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। তিনি সাজঘরে ফেরান রুদ্র প্যাটেল (১), মুশির খান (২), সচিন ধাস ও রাজ লিম্বানিকে (৭)।