বিদর্ভ ক্রিকেট দল কেরলের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে মোটামুটি ভদ্রস্থ রানের দিকেই এগোচ্ছে। গতবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠলেও মুম্বইয়ের কাছে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল তাঁদের। কেরলের বিপক্ষে এবার নিজেদের তৃতীয় রঞ্জি ট্রফি জয়ের দিকে এগোনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে করুণ নায়াররা। আর প্রথম ইনিংসেই তাঁদের বেশ কয়েকটি স্ট্র্যাটেজি নজর কেড়েছে সকলের।
আরও পড়ুন-Champions Trophy- ‘শেষ ১০ ওভারে অত রান দেওয়া উচিত হয়নি…’ আফগানদের বিপক্ষে হেরে বোলারদের কাঠগড়ায় তুললেন বাটলার
সব ক্ষেত্রে যে বিদর্ভের ব্যাটিং স্ট্র্যাটেজি ক্লিক করেছে তা নয়। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই কিছুটা আউট অফ দ্য বক্স সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদর্ভের টিম ম্যানেজমেন্ট। যেমন বাছাই করা ব্যাটারদের দিয়ে ওপেনিং করানো হয়। বরং দলের মূল যে ভিত, সেই ওপেনিং স্পটেই এসেছেন একজন টেলেন্ডার, তাও আবার রঞ্জির ফাইনালের মতো ইভেন্টে।
আরও পড়ুন-ICC Champions Trophy থেকে বিদায়! উডের চোট, রুটের ওভারকেই টার্নিং পয়েন্ট মানছেন বাটলার! দিলেন লজ্জার হারের পর সাফাই
কেরলের বিপক্ষে অভিনব স্ট্র্যাটেজি বিদর্ভের
কেরলের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বিদর্ভ। তবে ওপেনিংয়ে আথর্ব তাইদে না থাকায় বিদর্ভের হয়ে নামেন বাঁহাতি স্লো আর্ম স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া পার্থ রেখাডে। তিনি ২ বল খেলেই ০ রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর আরেক স্পেশালিস্ট বোলার দর্শন নালকাণ্ডেকে ফার্স্ট ডাউনে পাঠায় বিদর্ভ, তিনিও ২১ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
আরও পড়ুন-Champions Trophy, Afghanistan- ইংরেজ বধ অতীত! ফোকাসে এখন অস্ট্রেলিয়া! মাস্ট উইন ম্যাচের আগে হুঙ্কার শাহিদির!
দুরন্ত ১৫০+ দানিশের
যদিও তারপরে দানিশ মালেওয়ার নেমে অবশ্য খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন পুরোপুরি। তিনি শতরান করে বিদর্ভকে খাদের কিনারা থেকে যেমন টেনে তোলেন, তেমন দ্বিতীয় দিনে রঞ্জির ফাইনালে নিজের ১৫০ রানের মাইলস্টোনও পেরিয়ে যান। ২৮৫ বলে তিনি করেন ১৫৩ রান। নেদুমাকুঝি বাসিলের বলে বোল্ড আউট হয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন। একটা সময় ২৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেলেও, করুণ নায়ারের সঙ্গে দানিশ জুটিতে তোলেন ২১৫ রান, আর তাতেই লড়াইয়ে ফেরে বিদর্ভ।
আরও পড়ুন-নিউক্যাসেলকে উড়িয়ে EPL শীর্ষে রইল লিভারপুল! হটস্পার্স বধ সিটির, জিতল ম্যান ইউ! আটকে গেল আর্সেনাল
বল পুরনো করার লক্ষ্যে ছিল বিদর্ভ
বৃহস্পতিবার সকালে দানিশ যখন আউট হলেন তখন বিদর্ভের স্কোর ৩০০ ছুঁইছুঁই। কিন্তু তাঁর আউটের পরই আরেক সেট ব্যাটার যশ ঠাকুরও আউট হয়ে যান। ৬০ বলে ২৫ রান করে সেই বাসিলের বলেই আউট হন যশ। তিনিও অবশ্য দলের বোলিং অলরাউন্ডার। বিদর্ভ দল আসলে চেয়েছিল, শুরুর দিকে কয়েকজন বোলারকে পাঠিয়ে বল যদি পুরনো করে দেওয়া যায়। সেই কাজে তাঁরা সফল হতে পারেননি, কারণ টপ অর্ডারে যে কমঝুরি ব্যাটারদের(মূলত যারা বোলার) টিম ম্যানেজমেন্ট পাঠিয়েছিল, তাঁরা সেভাবে কেউ সফল হননি।