ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুণেতে চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে দুরন্ত বোলিং হর্ষিত রানার। প্রথম থেকে খেলার কথা ছিল না তাঁর। হঠাৎ করেই জাতীয় দলের হয়ে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেল রানার। শিবম দুবের পরিবর্তে 'কনকাশন সাব' হিসেবে এসে ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন রানা। বল হাতে চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। আউট করেন লিয়াম লিভিংস্টোন, জেকব বেথেল এবং জেমি ওভারটনকে। হর্ষিতের নেওয়া এই ৩টি উইকেট ম্যাচের রং বদলে দেয় অনেকটা। তাঁর এই পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ সবাই। এর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেবার বল হাতে খুব বেশি কিছু করে দেখাত পারেননি। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে এক ম্যাচে নেমেই ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন রানা।
নিজের অভিষেক ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ খুশি হর্ষিত। খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম ভারতকে একদিন ম্যাচ জেতাবে। আমার মনে সব সময় চলতো যে একদিন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ম্যাচের রং পাল্টে দেব। ভালো লাগছে এটা দেখে যে হঠাৎ করে খেলার মাঝে নেমে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি।’ হর্ষিত জানিয়েছেন, আচমকা এই অভিষেক হওয়াটা বেশ মজার ছিল। তবে তিনি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। রানা বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা একটু অদ্ভুত অভিষেক ছিল। হঠাৎ করে জানতে পেরেছিলাম। তবে সেটার জন্য কোনও সমস্যা হয়নি। প্রচুর পরিশ্রম করেছি। প্রস্তুত ছিলাম দেশের হয়ে যখনই সুযোগ পাব নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য।’
কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই তারকা পেসার জানিয়েছেন যে পুণের এই রাত তিনি কোনও দিন ভুলবেন না। হর্ষিত বলেন, ‘আমি সব সময় সুযোগের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। এর থেকে ভালো মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না। আমি আমার দেশের জার্সি গায়ে ম্যাচ খেলছি আর কী চাই! এই অভিষেক ম্যাচটা আমি কোনও দিন ভুলব না। অভিষেক ম্যাচ সবসময় মনে রাখার মতো বিষয়ই।’ উল্লেখ্য, শুক্রবারের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো ছিল না ভারতের। নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮১। হাফ সেঞ্চুরি করেন শিবম দুবে এবং হার্দিক পান্ডিয়া। দু’জনেই ৫৩ রান করেছিলেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। বল হাতে ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন হর্ষিত এবং রবি।
প্রসঙ্গত, হর্ষিতকে কেন কনকাকশন সাব হিসেবে সুযোগ দেওয়া হল, এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছে ইংল্যান্ড। বাটলার তো এই নিয়ে রীতিমত ব্যঙ্গ করেছেন ও স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। অন্যদিকে পিটারসেন, স্ট্রস, ভন সহ প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়করাও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কিন্তু তরুণ হর্ষিত যে এসবকে ধর্তব্যের মধ্যে ফেলছেন না, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।