শুভব্রত মুখার্জি: দীর্ঘ দুই দশক পরে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট খেলবে জিম্বাবোয়ে দল। রাজনৈতিক কারণে ইংল্যান্ড ও জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেই ছিন্ন হওয়া সম্পর্ক এবার যেন জোড়া লাগতে চলেছে। প্রায় দুই দশক পর এই দুই বোর্ডের সম্পর্কের উন্নতি ঘটতে চলেছে। সেই ধারা বজায় রেখেই জিম্বাবোয়েকে নিজেদের দেশে খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইংল্যান্ড।
২০০৩ সালে শেষবার ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল জিম্বাবোয়ে দল। সেই সফরের ২২ বছর পরে ২০২৫ সালে ফের ইংল্যান্ড সফরে যেতে চলেছে জিম্বাবোয়ে দল। চার দিনের একটি টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। দুই দলের খেলা শুরু হবে ২৮ মে। ভেন্যু যদিও এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। সাদা পোশাকে লাল বলের ক্রিকেটে দুই দেশের শেষ দেখা হয়েছিল ২০০৩ সালে। ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জেমস অ্যান্ডারসনের। যিনি এই মুহূর্তে টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক।
দুই দলের শেষ টেস্টের দল থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন কেবলমাত্র এই তারকা পেসারই। এখন পর্যন্ত ৬টি টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। ১৯৯৬ সালে জিম্বাবোয়েতে, ২০০০ ও ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডে দুটি করে ম্যাচ খেলেছিল তারা। দুই দেশের শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হয়েছিল ২০০৪ সালে। ওই বছরে ডিসেম্বরে জিম্বাবোয়ে সফরে তিনটি ওয়ান ডে খেলেছিল ইংল্যান্ড।
প্রসঙ্গত জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয়বার হতে চলেছে, যখন তারা চার দিনের একটি টেস্ট খেলতে চলেছে। প্রথমবার ২০১৭ সালে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম চার দিনের একটি দিন-রাতের টেস্ট খেলেছিল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড দল সবেমাত্র তাদের দেশে অ্যাশেজ সিরিজ খেলা শেষ করেছে। এই সিরিজে ২-০ ফলে পিছিয়ে থেকেও তারা দুরন্ত কামব্যাক করে। সিরিজ ২-২ ফলে শেষ হয়েছে। যদিও গতবার অ্যাশেজ জেতার ফলে এইবারে সিরিজ ড্র হওয়াতে অ্যাশেজের ঐতিহাসিক ছাইদানি অস্ট্রেলিয়ার কাছেই রয়ে গিয়েছে।