কীভাবে ব্যাটারকে আউট করবেন, বাইশগজে সচরাচর সেই উপায় খুঁজতে দেখা যায় বোলারদের। তবে ঢাকা প্রিমিয়র লিগে দেখা গেল উল্টো ছবি। কীভাবে আউট হবেন, সেই উপায় খুঁজতে দেখা যায় ব্যাটারদের। এমন দৃষ্টিকটুভাবে একাধিক ব্যাটার আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন, তাতে গড়াপেটার গন্ধ পাওয়া স্বাভাবিক।
গত ৯ এপ্রিল মীরপুরে ঢাকা প্রিমিয়র লিগের ৫৭তম ম্যাচে মাঠে নামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। তারা ৪১ ওভারে ১৭৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
পালটা ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারালেও জয়ের দিকে এগোচ্ছিল। তবে সম্ভবত ম্যাচ হারার টার্গেট নিয়েই মাঠে নেমেছিল তারা। ৩৫.২ ওভারে নিহাদুজ্জামানের বলের লাইন থেকে বিস্তর দূরে ব্যাট চালিয়েই কার্যত ছুটে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ব্যাটার রহিম আহমেদ। স্বাভাবিকভাবেই বল চলে যায় উইকেটকিপারের দস্তানায়। তিনি ক্রিজে পৌঁছনোর চেষ্টা করা তো দূরের কথা, পিছন ফিরে তাকাননি পর্যন্ত। যেন যে কোনও প্রকারে তাঁকে আউট হতেই হবে। উইকেটকিপার ধীরে সুস্থে স্টাম্প আউট করেন রহিমকে।
পরে জিততে যখন মোটে ৬ রান দরকার শাইনপুকুরের, ৪২.৬ ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে মিনহাজুল আবেদিন যেভাবে আউট হন, তাতে অবাক হয়ে যান ধারাভাষ্যকাররাও। নইম ইসলামের অফ-স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্টাম্প ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছেড়ে দেন ব্যাটার মিনহাজুল। বল কিপারের গ্লাভসে চলে যায়।
ব্যাটসম্যানের সামনে বিস্তর সময় ছিল ব্যাট পুনরায় ক্রিজের ভিতরে নিয়ে যাওয়ায়। তবে তিনি ব্যাট ক্রিজের ভিতরে ঠেকাতে গিয়েও বাইরে টেনে নেন, যাতে কিপার স্টাম্প আউট করতে পারেন। শাইনপুকুর শেষমেশ ৪৩ ওভারে ১৭৩ রানে অল-আউট হয়। ৫ রানে ম্যাচ জেতে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।