নিজেদের খোঁড়া গর্তে পড়েই হাবুডুবু খেল বাংলাদেশ। স্পিন অস্ত্রে নিউজিল্যান্ডকে ঘায়েল করতে গিয়ে নিজেরাই ম্যাচ হেরে বসলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। যদিও একসময় পাল্লা ভারি ছিল বাংলাদেশের দিকেই।
মীরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ১৭২ রানে। পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড একসময় ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে কিউয়িরা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ১৮০ রানে।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৮ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা তৃতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করে। চতুর্থ দিনে তার পর থেকে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪৪ রানে। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ৩৫ ওভার।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে একা লড়াই চালান জাকির হাসান। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ বলে ৫৯ রান করে আউট হন। এছাড়া ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ১৫ রান। মোমিনুল হক ১০ ও তাইজুল ইসলাম অপরাজিত ১৪ রান করেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
আরও পড়ুন:- Abu Dhabi T10: ১৬ বলে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি নিকোলাস পুরানের, একই দিনে জোড়া ম্যাচ জিতে ফাইনালে ডেকান
মাহমুদুল হাসান জয় ২, মুশফিকুর রহিম ৯, শাহাদত হোসেন ৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ৩, নইম হাসান ৯ ও শরিফুল ইসলাম ৮ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি নুরুল হাসান।
আজাজ প্যাটেল একাই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান। তিনি ৫৭ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। উল্লেখ্য, আজাজ প্রথম ইনিংসে ২টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ২৫ রানে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন টিম সাউদি।
জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৩৭ রানের। তারা ৩৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৯ রান তুলে ম্য়াচ জিতে যায়। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ড ২ ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে।
আরও পড়ুন:- Big Bash League: ৭ বছর পরে গাব্বায় ফিরল রকেটম্যান, বিগ ব্যাশের উদ্বোধনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চমক- ভিডিয়ো
গ্লেন ফিলিপস ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৪০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৩৫ রান করে নট-আউট থাকেন মিচেল স্যান্টনার। টম লাথাম ২৬, কেন উইলিয়ামসন ১১ ও ডারিল মিচেল ১৯ রান করেন।
মেহেদি হাসান মিরাজ ৫২ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৫৮ রানে ২টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২৭ রান ও ৩টি উইকেট সংগ্রহ করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন গ্লেন ফিলিপস। ২টি টেস্টে সাকুল্যে ১৫টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তাইজুল ইসলাম।