প্রত্যাশিতই ছিল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সেমেস্টারের যাবতীয় লিখিত এবং প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা বাতিলের পথে হাঁটল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। একইসঙ্গে জানানো হল, ৬০-২০-২০ শতাংশ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে।পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল বিশ্বভারতীর কার্যসমিতি। তারপর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত সেমেস্টারের কোনও পরীক্ষা হবে না। পরিবর্তে ৬০-২০-২০ শতাংশ পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে। বিশ্বভারতী জানিয়েছে, ২০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য। চূড়ান্ত সেমেস্টার আগের দুটি সেরা সেমেস্টারের গড় করে ৬০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। অর্থাৎ যে সেমেস্টার দুটিতে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন পড়ুয়ারা, সেই দুটির গড় করে ৬০ শতাংশ নম্বর যোগ করা হবে। বাকি ২০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে প্রজেক্ট বা ডিজার্টেশন (Disseration) বা হোম অ্য়াসাইনমেন্ট থেকে। পড়ুয়াদের সেগুলি অনলাইনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে পাঠাতে হবে। আগের কোনও সেমেস্টারে ব্যাক পাওয়া পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও এই ৬০-২০-২০ শতাংশ নিয়ম প্রয়োজ্য হবে। তবে যে সব বিভাগে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট হয় না, সেখানে প্রজেক্ট বা ডিজার্টেশন বা হোম অ্য়াসাইনমেন্ট বা ক্রেডিট সেমিনারের মতো ইত্যাদি বিষয়ের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের নম্বর জমা দেবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানরা। একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, সার্টিফিকেট, বিদেশি এবং অন্যান্য ক্যাজুয়াল কোর্সের ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রেজেন্টেশনের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। যা অনলাইনেই হবে।তবে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত সেমেস্টারের ফল কবে প্রকাশিত হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। শুধু আগামী অগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি বিভাগকে প্রজেক্ট বা ডিজার্টেশন বা হোম অ্য়াসাইনমেন্টের মতো অনলাইন মূল্যায়নের প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় পড়ুয়াদের শুধুমাত্র ৫০ টাকা দিতে হবে।