সবে ডিগ্রি পেয়ে যারা জয়েন করে বিভিন্ন আইটি সংস্থায়, তাদের মনে একটা আশংকা থাকে যে ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে। সেই সমস্যা দূর করতে অভিনব উপায় নিয়েছে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম আইটি পরিষেবা সংস্থা Wipro. পরের পাঁচ বছরে স্যালারি কাঠামো কী হবে, কত বোনাস ও ইনক্রিমেন্ট মিলতে পারে সব কিছু প্রথমেই বলে দেওয়া হচ্ছে তরুণ-তরুণীদের। এর ফলে অনেক নিশ্চিন্ত হয়ে কেরিয়ার প্ল্যানিং করতে পারবে এই সব উঠতি প্রতিভারা বলে সংস্থার বিশ্বাস। একই সঙ্গে মুনলাইটিং অর্থাৎ দুই জায়গায় যারা কাজ করে, সেটা বন্ধ করতেও সংস্থা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে। এর জন্য পিএফ ডিটেলস মিলিয়ে দেখা ও স্টার্টআপদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা জানিয়েছে উইপ্রো। সংস্থার চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সৌরভ গোভিল জানিয়েছেন যে অফার লেটারেই আগামী পাঁচ বছরের প্রগ্রেস প্ল্যান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বোনাস ও স্যালারি বৃদ্ধি নিয়ে নিশ্চয়তা পাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা বলেই সংস্থার দাবি। চলতি আর্থিক বছরেই ১৫ হাজার ফ্রেশার নিযুক্ত করেছে উইপ্রো। একই সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভ্যারিয়েবেল পে পেয়েছেন প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মী। প্রসঙ্গত বছরের প্রথম কোর্য়ার্টারে ৩০ শতাংশ অ্যাট্রিশন রেট ছিল সংস্থার, যেটা কিছুটা কমে ২৩ শতাংশ হয়েছে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে। তারপরেই নতুন এই পলিসি নিয়ে এসেছে সংস্থা। তাদের আশা ২০ শতাংশের বেশি কর্মী এরপর ছেড়ে যাবেন না সংস্থা। ক্যাম্পাসে গিয়ে যা অফার দিয়েছে সংস্থা সেগুলির অফার রোলআউট করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংস্থা, তবে তা ধাপে ধাপে করা হবে। সৌরভ জানিয়েছেন যে বাজারের অবস্থা কিছুটা সুস্থির হয়েছে। কিছুটা সাপ্লাই-ডিম্যান্ডের যে সমস্যাটা হচ্ছিল সেটা কমেছে। এখন খুব কম ক্যান্ডিডেট পকেটে ছয়টি অফার লেটার নিয়ে ঘুরছেন বা বিশাল হাইক চাইছেন। মূলত স্টার্টআপদের হাতে কিছুটা টাকার কমতি হওয়ার জেরেই এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছেন উইপ্রো কর্তা। তবে যে সব কর্মীরা এক সঙ্গে অন্য সংস্থায় কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে স্টার্টআপদের সাহায্য নেওয়া হবে এরকম কর্মীদের চিহ্নিত করার জন্য বলে তিনি জানিয়েছেন।