শহরের তিনটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার হস্টেলগুলি খুলতে চলেছে। শুরু হচ্ছে ভর্তির প্রক্রিয়া। মোট ৪,৫০০ জন ছাত্র ছাত্রী সেই হস্টেলগুলিতে থাকতে পারবেন। আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুললেই শুরু হয়ে যাবে সেগুলির ভর্তির প্রক্রিয়া। সামনের সপ্তাহের শেষের দিক থেকেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিভিন্ন বাইরের জেলা ও রাজ্য থেকে ছাত্র ছআত্রীরা পড়তে আসেন। ফলে তাঁদের জন্য হস্টেল পাওয়াটা খুবই জরুরি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মেস কিম্বা বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনেকেই থাকেন। এদিকে, শহরে বিভিন্ন কলেজে শেষ হয়েছে ভর্তির প্রক্রিয়া। আর তারপর এবার শুরু হচ্ছে, হস্টেলে ভর্তির প্রক্রিয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলে ভর্তির জন্য ইন্টারভিউ শুরু হবে নভেম্বরে। নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ শুরু হবে অই ইন্টারভিউ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ভর্তির আবেদন জানানোর শেষ তারিখ ৪ নভেম্বর। যাদবপুরের সল্টলেক ও যাদবপুর ক্যাম্পাসের হস্টেলে মোট ২০০০ জন ছাত্রকে জায়গা দেওয়া যাবে। দুটি জায়গা মিলিয়ে মোট ১৪ টি হস্টেলে পড়ুয়াদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্নাতকস্তর ও স্নাতোকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে। এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ টি হস্টেলে ১৮০০ জনের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যে সমস্ত কলেজে হস্টেল নেই সেখানের পড়ুয়ারাও এই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। এখানে হস্টেলে আবেদনের জন্য শেষ তারিখ হল ১৮ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করে দিয়েছে হস্টেলের সংস্কারের কাজ। যাতে ছুটির পরই পড়ুয়ারা প্রবেশ করতে পারে সেখানে।এদিকে, প্রেসিডেন্সি কলেজে পিজি পড়ুয়াদের জন্য পুরুষ ও মহিলাদের হস্টেলে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পিজি পড়ুয়াদের তালিকা তুলে ধরেছে প্রেসিডেন্সি। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, আগেই ইউজি পড়ুয়াদের তালিকা তারা প্রকাশ্যে এনেছে। কলকাা বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তাদের বিশেষ কমিটি দেখাশোনা করবে এই সমস্ত হস্টেলের ভর্তির। উল্লেখ্য, একটা বড় অংশের পড়ুয়ারা নিজেরাই শহরে এসে বাসস্থান খুঁজে নিয়ে থাকে। এদিকে , শহরের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু নামী হস্টেলে ওয়াইফাই ও প্রাইভেট হস্টেলের বন্দোবস্ত। তবে সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের আরও বেশি চার্জ দিতে হয়।