ডুয়ার্সের রাস্তায় গাড়ির ভিতরেই বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার মদ্যপান ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনীতিতে। এর একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো ঘিরে এখন তোলপাড় জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহল। ঘটনার জেরে কড়া অবস্থান নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই শোকজ করেছে জেলা তৃণমূল। আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানান জেলার তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ। (আরও পড়ুন: কেন্দ্রের 'বিরোধিতা' করে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের বিতর্কিত বার্তা শুভেন্দুর)
আরও পড়ুন: কসবার কলেজের দেওয়ালে এখনও মোছা হয়নি 'মনোজিত দাদা আমাদের হৃদয়ে' গ্রাফিটি!
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া বলেন, ভিডিয়োটি আসল কি না, তা এখনও যাচাই হয়নি। তবে যেহেতু দলের এক নেতার নাম উঠে এসেছে, বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া যায় না। তাই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। তাঁর উত্তর পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবে দল। অন্যদিকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বিষয়টিকে ‘চক্রান্ত’ বলেই দাবি করছেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। নেত্রীকে জোর করে গাড়িতে বসানো হয়। এর পরেই কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাঁদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চায়। টাকা না দেওয়াতেই সেই ভিডিয়ো ছড়ানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও শোকজ নোটিস হাতে পাননি, তবে চিঠি পেলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তর দেবেন। (আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে আটক ৭৫০ পরিযায়ীর ভেরিফিকেশন করেছে রাজ্য, বিতর্কের মাঝে জানাল পুলিশ)
আরও পড়ুন: সীমান্তে বাংলাদেশি অপরাধীদের হামলায় জখম বিএসএফ জওয়ান, আটক ২
ঘটনার জেরে রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে জেলা তৃণমূল। এই বিতর্কের মধ্যেই আর এক চমক তৃণমূল নেতার পাশে সাংবাদিক সম্মেলনে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সমাজসেবী করিমুল হককে। সেই ছবি সামনে আসতেই আরও প্রশ্ন উঠেছে। জবাবে করিমুল হক বলেন, তিনি তাঁর কাছে এক বার্ধক্য ভাতা ফর্মে সই করাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন চলছিল, তাই পাশেই বসেছিলেন। (আরও পড়ুন: IIM কলকাতায় হস্টেলে ধর্ষণ তরুণীকে, গ্রেফতার অভিযুক্ত ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া)
এদিকে, বিজেপিও দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ সরাসরি দাবি তুলেছেন, বিতর্কে নেত্রীকে শুধু পদ থেকে সরিয়ে দিলে চলবে না, দল থেকেই বহিষ্কার করতে হবে। তাদের দাবি, ওই ঘটনার জেরে বিজেপির ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশেছে। এই অবস্থায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো ঘিরে জটিল হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। একদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব দেখাতে চাইছে দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্নে তারা কোনওরকম আপোস করবে না, অন্যদিকে বিজেপি নেত্রীর আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।