ব্রাত্য বসু বলেন,'অপরাধের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ততে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, হেফাজতে নেয়। কিন্তু তারপর যে কী হল, ২৩ দিন কেটে যাওয়ার পরও, সিবিআইয়ের দিক থেকে নীরবতা আর সার্বিক ধন্দ ছাড়া কিছু পাইনি।'
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
আরজি কর কাণ্ডে এবার সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজা। তাঁদের প্রশ্ন, সিবিআই ‘তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশে নীরব কেন?’ ব্রাত্য বসু দাবি করেন, এই তদন্ত যতদিন কলকাতা পুলিশের আওতায় ছিল, ততদিন প্রায়ই সাংবাদিক বৈঠক করে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে জানানো হয়েছে, সিবিআই ২২ দিন তদন্ত করে নিলেও, বিচারের আশায় থাকা সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে বলে দাবি করেন ব্রাত্য।
ব্রাত্য বসু বলেন,'অপরাধের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ততে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, হেফাজতে নেয়। কিন্তু তারপর যে কী হল, ২৩ দিন কেটে যাওয়ার পরও, সিবিআইয়ের দিক থেকে নীরবতা আর সার্বিক ধন্দ ছাড়া কিছু পাইনি।' প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ প্রসঙ্গ টেনে ব্রাত্য বসু বলেন,'কী প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে? তাহলে সিবিআই কেন এটা কারোর সঙ্গে বিস্তারিত বিবরণ ভাগ করে নিচ্ছে না? যদি কেউ… সিবিআইয়ের মতো এক সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা… যারা প্রমাণ লোপাট করল, বা কাটাছেঁড়া করল… সেই অপরাধীদের তারা কেন এখনও খুঁজে বের করলনা? বা তাঁদের সম্পর্কে কোনও প্রাথমিক সন্দেহভাজনের তালিকা প্রকাশ হল না? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা গেল না। কী লোপাট হল? কারা করল, কেন করল? সেটা সম্পর্কে অন্তত কিছু বলুক।' ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তোলেন ধোঁয়াশা ও নীরবতা নিয়ে।