প্রাথমিকভাবে ধৃত জানিয়েছে, সে বিএনপি নেতা। আর বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সঙ্গে গোলমালের জেরে সে ভারতে এসেছে। ধৃতের মোবাইলটি এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ মনে করছে, মোবাইল হাতে আসলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বাংলাদেশি ধৃত কলকাতায়।
আসল নাম সেলিম মাতব্বর। তবে কলকাতায় এক হোটেলে সে দিব্য ‘রবি শর্মা’ নাম নিয়ে থেকে যাচ্ছিল। ‘শর্মা’ পদবীর ব্যক্তি ইসলামিয়া হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতেন, তা সন্দেহের ভ্রূকুটি আরও তেজ হয় অনেকের। এরপরই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সরকারি শীর্ষস্তরের নির্দেশে গত শুক্রবার রাতে অভিযানে নেমে পার্কস্ট্রিট থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে বাংলাদেশি নাগরিক সেলিম মাতব্বরকে। এরপরই চলছে জেরা। প্রশ্ন উঠছে, কেন ভারতে সে বসবাস করছিল। জেরায় তারও জবাব এসেছে। উঠে এসেছে নথি। এই গোটা কেসে কী কী উঠে আসছে এপর্যন্ত?
ময়দানে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স… জেরা পর্ব শুরু:-
বাংলাদেশের নাগরিককে গ্রেফতারির ঘটনায় দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। শুরু হয়ে গিয়েছে জেরা। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনকে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। নাম ভাঁড়িয়ে কেন কলকাতার বুকে থাকছিল বাংলাদেশি সেলিম মাতব্বর? কী ছিল আসল উদ্দেশ্য। প্রাথমিকভাবে ধৃত জানিয়েছে, সে বিএনপি নেতা। আর বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সঙ্গে গোলমালের জেরে সে ভারতে এসেছে। ধৃতের মোবাইলটি এখনও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ মনে করছে, মোবাইল হাতে আসলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এই, সেলিম মাতব্বরের সঙ্গে আদৌ কি রয়েছে কোনও জঙ্গি যোগ? ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে।
দিল্লির ঠিকানার রহস্যজনক নথি:-
জানা গিয়েছে, ধৃত সেলিমের বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুরে। ২০২৩ সালে নদিয়া দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল সেলিম। হাবড়ার এক এজেন্ট তাকে এই কাজে সাহায্য করে। সোজা কাঁটাতার পেরিয়েই ঢোকে সেলিম। সেলিমের কাছে ২ টি ভুয়ো আধার কার্ড রয়েছে। একটি নদিয়ার ঠিকানায়, অন্যটি রাজস্থানের ঠিকানায়। রাজস্থানের ঠিকানার সূত্র ধরেই ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে নেয় সেলিম। যেখানে তার নাম ভাঁড়িয়ে নাম হয়েছে রবি শর্মা। কিন্তু এই নথি তৈরির উদ্দেশ্য কী ছিল? ধৃত বলছে, পর্যটক হিসাবেই নথি সে তৈরি করেছে। প্রশ্ন এখানে থামছে না। বাংলাদেশের বাইরে একদম ভিন্ন দেশে ১ বছরের বেশি সময় ধরে থাকার খরচ কীভাবে জোগাল সেলিম? টাকার উৎস কী? এছাড়াও এই কেসে দিল্লির এক ঠিকানার নথই উদ্ধার হয়েছে।
লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা ‘আনন্দবাজার’কে জানিয়েছেন, জঙ্গিযোগ সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সব উত্তর জানা যাবে।