বিধাননগরে চাকরিহারাদের আন্দোলনের শিক্ষকের থেকে বেশি রয়েছেন বহিরাগতরা। এভাবে রাস্তা আটকে সাধারণ মানুষের সমস্যা করে আন্দোলনের সমর্থক নন তিনি। সোমবার উত্তরবঙ্গে উড়ে যাওয়ার আগে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে মামলাকারীদেরই শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, ‘যারা উসকাচ্ছে তারাই কিন্তু মামলাটা করেছে ওদের বিরুদ্ধে। চাকরিগুলো কিন্তু আমাদের জন্য যায়নি। চাকরিগুলো যাদের যাবার পথে দাঁড়িয়েছে সেটার জন্য দায়ী যারা আমি তাদের বলব এটা না করলেই পারতেন। যারা চাকরি খেয়েছেন, সেই নাটের গুরুরা যদি তাদের স্বার্থরক্ষার গুরু হয়ে যায় সেখানে আমার আপত্তি আছে। তাদের রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও ওদের সাথে মিটিং করেছি। শিক্ষকদের কাছ থেকে আমরা মিনিমাম সম্মান প্রত্যাশা করি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে তারা সমাজকে সেবা করুক। বাচ্চাদের শিক্ষা দিক। আমার অভিযোগ একটাই, কাউকে জোর করে আটকে রাখা জোর করে যায় না। রাস্তা অবরোধ করে মানুষের ক্ষতি করা যায় না। এটা কারও কাজ নয়। এবং এতে বাইরের লোকেরা আছে। টিচারের সংখ্যা কম। বাইরের লোকের সংখ্যা বেশি। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে নই। কিন্তু আন্দোলন করারও এতটা লক্ষ্মণ রেখা আছে।’
বিরোধীদের মমতার প্রশ্ন, ‘কোনও রাজনৈতিক দল যদি মনে করেন যে জল ঘোলা করবেন, তাহলে তাদের আমার প্রশ্ন থাকবে কোর্টে গিয়ে কেসটা তো আপনারা করেছিলেন, এটা করা কি ঠিক হয়েছিল?’