সরকারি চাকরিতে এতদিন যে স্বজনপোষণ হয়ে আসছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে এবার সংশোধনের উদ্যোগ নিল তৃণমূল সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কোপ পড়তে চলেছে জনপ্রতিনিধিদের কোটায় সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগে৷ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের ১২৫টি পুর নিগম ও পুর সভার কোনওটিতেই এখন থেকে আর মেয়র থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান, পুর পরিষদের সদস্য কিংবা কাউন্সিলরের আত্মীয়রা কেউ চাকরি পাবেন না৷ বিষয়টি নিশ্চিত করতে ডিরেক্টোরেট অব লোকাল বডিজ-কে বলা হয়েছে৷সম্প্রতি চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে ৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় পুর দফতর৷ এর পরই নড়েচড়ে বসে নবান্ন৷ নির্দেশে সাফ জানিয়ে দেওয়া দেওয়া হয়েছে, পুরসভা বা পুরনিগমে কোনও জনপ্রতিনিধির পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর চাকরি পাবেন না৷ যদি পরিবারের কোনও সদস্যের নাম থাকে, সেই প্যানেল বাতিল হবে৷ একই সঙ্গে শূন্যপদ সৃষ্টি-সহ কর্মী সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিএলবি-দের উপরে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দিলে মানুষের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়৷ ফলে, এখন থেকে সিলেকশন কমিটিতে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের আত্মীয়রা চাকরি পাবেন না৷অতীতে একাধিক পুরসভায় নেতাদের ছেলে, ভাই, ভাইপো, পুত্রবধূ ছাড়াও দূর সম্পর্কের আত্মীয়রাও চাকরি পেয়েছেন৷ অনেক কাউন্সিলার আবার নিজের পদ ছেড়ে পুরসভার চাকরিতেও যোগ দিয়েছেন৷ আর তার জেরে বাদ পড়েছেন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা৷