এটার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মহম্মদ ইউনুস সরকার। এবার আগের রায় স্থগিতাদেশ চান সরকারি কৌশলী। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকের বক্তব্য, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান না রাখার অর্থ পাকিস্তানপন্থী নয়া বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করা। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বাংলা থেকে মোছা যাবে না।
Ad
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তার পর থেকে সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এবার সেটা শুধু বাংলাদেশে থেমে থাকল না। তা ছড়িয়ে পড়ল বিদেশের মাটিতেও। ইউনুস সরকারের ‘শাগরেদ’দের ভয়ে এখন লন্ডনের বাঙালি ঠিকানা থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বলে সূত্রের খবর। ওখানে থাকা বাঙালিদের বাড়ি, দোকান এবং রেস্তোরাঁ থেকেও মুছে ফেলা হচ্ছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। এবার এই কথা জানতে পেরে বিধানসভার মধ্যেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কাজি নজরুল ইসলামের কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।
বাংলাদেশে এখন অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেখানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে বলে অভিযোগ। ওপার বাংলার অশান্তির জেরে কাঁটাতারের বেড়া টপকে এপার বাংলায় চলে আসছে নাগরিকরা। এই আবহে আজ বিধানসভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় লন্ডনে বাঙালিদের ঠিকানা থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুছে ফেলা হচ্ছে বলে জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জয় বাংলা’ লেখা থাকলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আওয়ামি লিগের সমর্থক। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে। কারণ এই স্লোগান কাজি নজরুল ইসলামের একটি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। বাংলা ও বাঙালির গর্ব প্রকাশ করার জন্য ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়। বাংলাদেশে যাই হোক, আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে।’