নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজ চুক্তিভিত্তিক কর্মী, ঠিক কর্মী বা অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে করানো যাবে না। তা সত্ত্বেও লালবাজারের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমে ৪ জন অস্থায়ী কর্মী রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে লালবাজার। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা নির্বাচনে কালো টাকা রুখতে উদ্যোগ, অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি কমিশনের
সাধারণত ভোটের সময় সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর পোস্ট, ফেক নিউজ বা আপত্তিকর মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সেক্ষেত্রে পরিবেশ অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর ভোটের মরসুম থাকায় এইসমস্ত বিষয়গুলি আরও স্পর্সকাতর হয়ে উঠতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের সাইবার বিভাগের ডিসি অভিষেক মোদী। এছাড়াও এই টিমে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, সার্জেন্ট এবং এসআই। পাশাপাশি রয়েছেন চুক্তিভিত্তিক ৪ জন অস্থায়ী কর্মী। এই অস্থায়ী কর্মী রাখা নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছে লালবাজার।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সমস্ত ভোটের কাজ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে করানো যায় না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় তা স্পষ্টভাবে বলা আছে। ঠিক যেমন সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ভোটের কাজ করানো যাবে। সেই ভাবে অন্যান্য অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে ভোটের কাজ কাজ করানো যাবে না। ফলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মনে হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।