পড়ুয়াদের লাগাতার দুর্ব্যবহারের মুখে পড়ে ধর্নায় বসেছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, তিনি নিজে র্যাগিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন। পড়ুয়ার তাঁকে হেনস্থা করছে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। তাঁর চেয়ারকে সম্মান করা হচ্ছে না।
ব্রাত্য বসু। ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েক মাস যাবৎ রাজ্য সরকারের সঙ্গে আচার্য তথা রাজ্যপালের সংঘাত চলছিল। তারপর থেকেই নানা সময়ে নানাভাবে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বুদ্ধদেব সাউয়ের পদক্ষেপ করার আবেদন প্রসঙ্গে আবারও রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । একইসঙ্গে আচার্য নাকি রাজ্য সরকার? কে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ? তা ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বার্তা দিলেন তিনি।
পড়ুয়াদের লাগাতার দুর্ব্যবহারের মুখে পড়ে ধর্নায় বসেছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, তিনি নিজে র্যাগিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন। পড়ুয়ার তাঁকে হেনস্থা করছে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। তাঁর চেয়ারকে সম্মান করা হচ্ছে না। সেই অভিযোগ তুলে বুধবার রাতেই ধর্নায় বসেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তার সঙ্গে ধর্নায় বসেন সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং ইসি সদস্যরা। এরপর টানা ১৮ ঘণ্টা পর অবশেষে তিনি অবস্থান তুলে নেন। তখন তিনি উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিলেন। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য বসু জানান, তিনি সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন। আগে স্থির করতে হবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে? উচ্চতর কর্তৃপক্ষ বলতে উনি কাকে বোঝাচ্ছেন? আগে সেটা ঠিক করতে হবে। তারপরে পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।