সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা জানতে সারপ্রাইজ ভিজিটে SSKM হাসপাতালে ED-র আধিকারিকরা। মঙ্গলবার ইডির ৩ আধিকারিক হাসপাতালে হাজির হয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে দেখা করেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা। তিন মাস আগে সুজয়কৃষ্ণের অস্ত্রোপচার হলেও এখনো তাঁকে কেন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে সেব্যাপারে হাসপাতালের কাছে যাবতীয় রিপোর্ট চেয়েছে ইডি। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে নিজেদের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন ইডি আধিকারিকরা।গত ৩০ মে গ্রেফতার হয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বিতর্কিত সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এই আধিকারিককে ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে জেলে পাঠায় আদালত। জেল হেফাজতে থাকালীন সুজয়কৃষ্ণের পত্নীবিয়োগ হয়। স্ত্রীর পারলৌকিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয় আদালত। প্যারোলের মেয়াদ শেষে হাসপাতালে ফিরেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এর পর আদালতের অনুমতি নিয়ে গত অগাস্টে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর বুকে অস্ত্রোপচার হয়। বসানো হয় স্টেন্ট। এর পর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সুজয়কৃষ্ণকে ভর্তি করানো হয় SSKM হাসপাতালে। সেই থেকে SSKM হাসপাতালেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ।মঙ্গলবার ইডির ৩ আধিকারিক কার্যত কাউকে কিছু না জানিয়েই SSKM হাসপাতালে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে জানতে চান। এর পর চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কেন এতদিন সুজয়কৃষ্ণকে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করেন। চিকিৎসকদের কাছে সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংগ্রহ করেন তাঁরা।ইডি সূত্রে দাবি, আদালত সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে CFSL-এ পাঠাতে বলেছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিভিন্ন অভিযুক্তের ফোন থেকে যে কল রেকর্ডিং উদ্ধার হয়েছে তার কণ্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের কি না তা মিলিয়ে দেখতে চাইছে তারা। সেই প্রক্রিয়া এড়ানোর জন্যই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এর পিছনে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের মদত থাকতে পারে বলেও অনুমান তাদের।ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি নিজেদের চিকিৎসকদের দেখিয়ে পরামর্শ নেবেন তাঁরা। সেই চিকিৎসকরা যদি সুজয়কৃষ্ণের হাসপাতালে ভর্তি থাকার দরকার নেই বলে পরামর্শ দেন তাহলে বিষয়টি আদালতকে জানাবে তারা। কারণ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার জন্য ইডিকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আদালত। সুজয়কৃষ্ণের অসহযোগিতার জন্য তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে আদালতে দাবি করতে পারে তারা।