আজই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে মমতার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়েন 'ঘরের ছেলে' শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে মমতা নন্দীগ্রাম থেকে হেরে যান। তা সত্ত্বেও তিনি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। যার অর্থ, আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। এই আবহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মমতার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রটি ছেড়ে দিচ্ছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা ভবানীপুর থেকে নির্বাচনে দাঁড়াবেন।এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে যখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও মন্ত্রিত্ব থেকে তিনি পদত্যাগ দেবেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। পদত্যাগের বিষয়ে শোভনদেব নিজে জানান, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন তিনি। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। ৭৩ নম্বর ছাড়াও ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রটিতে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড নম্বর ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৪, ৭৭ ও ৮২। এবার মমতা ভাবানীপুর থেকে প্রার্থী না হলেও, তিনি তাঁর বহু পরিচিত, দলের অন্যতম বিশ্বস্ত সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এখান থেকে প্রার্থী করেন। তিনি নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হন।এর আগে ২০১১ সালে যখন মমতা বামেদের হারিয়ে রাজ্যের শাসন ভার গ্রহণ করেছিলেন। উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৪৯,৯৩৬ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন মমতা। মমতার জয়ের ব্যবধান ছিল ২১.৯১ শতাংশ। স্পষ্টতই এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি।ওই আসনটি থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে বিধানসভায় নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। বাম এবং কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হয়ে সেবার ভোটে লড়াই করেছিলেন দীপা দাশমুন্সি। দিদি বনাম বৌদির সেই লড়াইতে শেষ হাসি হেসেছিলেন মমতাই। মমতা জয় পেয়েছিলেন ২৫,৩০১ ভোটে।