এখন গ্রীষ্মের প্রখর রোদে মানুষের মাথা ঝাঁ ঝাঁ করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শহর থেকে গ্রামবাংলায় তীব্র গরম পড়েছে। আর এই দাবদাহের আবহে রোদের মধ্যেই চলছে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা বলে অভিযোগ। তার উপর পরীক্ষা কেন্দ্রের নীচে বারান্দায় দমবন্ধ করা পরিবেশ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাকি পরীক্ষার্থীরা। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নেওয়া হয়েছে পরীক্ষা। আর তার জেরে পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিপুল পরীক্ষার্থী। আজ, শনিবার শিয়ালদা এলাকায় হোমিওপ্যাথি কলেজে এমন অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে শিয়ালদা এলাকার মেট্রোপলিটন হোমিওপ্যাথি কলেজে। একের পর এক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার জেরে সোচ্চার হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। অস্বাস্থ্যকর দমবন্ধ করা পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয় হোমিওপ্যাথি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ পরীক্ষার্থীরা তোলায় তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। চিৎকার চেঁচামিচিও জুড়ে দেন অনেকে। আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। পাল্টা এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, পরীক্ষার প্যানিক, টেনশন থেকেই কিছু পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাকে বেসরকারীকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত কেন্দ্র–রাজ্যের সরকার, আন্দোলনে এসএফআই
অন্যদিকে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয় শিয়ালদার হোমিওপ্যাথি কলেজে। শিয়ালদা উড়ালপুলের নীচে অবস্থিত এই হোমিওপ্যাথি কলেজ। এখানে আজ বাংলার চারটি জেলার পরীক্ষার্থীদের যোগা এবং ন্যাচারোপ্যাথি পরীক্ষা চলছিল। জানা গিয়েছে, এই মেট্রোপলিটন হোমিওপ্যাথি কলেজে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০। তাঁদের মধ্যে ২০ জন পরীক্ষার্থীকে প্রখর রোদের মধ্যে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। বাকি ৬০ জন পরীক্ষার্থীকে বারান্দার নীচে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই আবহে মাথার উপর ঘুরছে একটি মাত্র সিলিং ফ্যান। যার হাওয়া অধিকাংশের গায়ে স্পর্শ করছিল না বলে অভিযোগ। ওই ঘরে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থাও ছিল না। তাই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে উঠেছে অভিযোগ।