আর শিক্ষিকা রইলেন না ববিতা সরকার। কারণ ববিতার সুপারিশ এবার বাতিল করল এসএসসি। দীর্ঘ লড়াই করে ববিতা চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নথির সঙ্গে বাস্তবের মিল ছিল না। সেটা ধরা পড়তেই চাকরি খারিজের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর থেকেই কাগজপত্রের কাজ শুরু হয়। এবার সুপারিশপত্র বাতিল করা হল। ফলে কয়েকদিনের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাঁর নিয়োগ বাতিল করবে। সুপারিশ বাতিল হয়ে যাওয়ায় খাতায় কলমে ববিতা আর শিক্ষিকা রইলেন না।
এদিকে পরেশ অধিকারীর মেয়েকে সরিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। উত্তরবঙ্গের একটি স্কুলে একবছর চাকরিও করেন। এমনকী অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি করে রোজগার করা টাকা দিয়ে দিতে হয়েছিল ববিতা সরকারকে। এবার সেই চাকরি রইল না। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা সরকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই তাঁর সুপারিশপত্র এসএসসি বাতিল করে দেওয়ায় ভেঙে পড়েছেন ববিতা।
অন্যদিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ জুলাই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ বেআইনি বলে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। তাঁর চাকরি মন্ত্রী কন্যা ক্ষমতার জোরে দখল করেছে। কলকাতা হাইকোর্টে ববিতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় অঙ্কিতা অধিকারীর। চাকরি পান ববিতা। অঙ্কিতার ৪৩ মাসের বেতনের টাকাও ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। এবার ববিতাকে সব টাকাই ফেরত দিতে হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? তারপর ববিতার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অন্যতম দাবিদার অনামিকা রায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ নয়। অথচ তিনি ৬০ শতাংশ লিখেছেন ফর্মে। তার জেরেই ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে যায়। ববিতার থেকে নম্বর বেশি অনামিকার। আবার শুরু হয় মামলা। এরপর ১৬ মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি যায় ববিতা সরকারের। অনামিকা চাকরি পান। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান ববিতা। সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup