আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে স্কুলের পঠনপাঠনের সময় স্কুল পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিল বিকাশ ভবন। এই নির্দেশ না মানায় হাওড়ার তিনটি স্কুলকে শোকজ করেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক বলে অভিযোগ। এভাবে কি পড়ুয়াদের পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছে? উঠছে প্রশ্ন। আর তখনই বিষয়টিকে কুৎসা এবং অপপ্রচার বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। ব্যাখ্যাও করলেন বিস্তারিত।
এবার পলিগ্রাফ পরীক্ষা হচ্ছে সন্দীপ ঘোষের। এই পরীক্ষায় সম্মতি রয়েছে তাঁর। আর আজ, শনিবার সিবিআই দফতরে গিয়েছেন সন্দীপবাবু। এটা নিয়ে নবমবার তিনি সিবিআই দফতরে গেলেন। আর আজ, শনিবার এই শোকজ ইস্যুতে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে বিশদে খোঁজখবর নিয়েছি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় স্তরে কিছু রাজনৈতিক শক্তি স্কুলপড়ুয়াদের মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করছে। কোথাও স্কুলে কোনও শিক্ষক–শিক্ষিকাও রাজনৈতিক পক্ষপাত করে কচিকাঁচাদের পথে নামাচ্ছেন। শিক্ষা দফতর সেটাকেই ঠেকাতে চেয়েছে। আর স্কুল শুরুর আগে বা স্কুল ছুটির পরে যদি কেউ প্রতিবাদ, মিছিল করে, তাতে কারও কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে অচলাবস্থা কাটল না, জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন
আজ স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। সেখানে এবার কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়। যদিও বৈঠক শেষে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলপড়ুয়াদের হুজুকে সামিল না হয়ে পড়াশোনায় মন দিতে বলেছেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেক জায়গায় স্কুলপড়ুয়ারা জানেই না কী ঘটেছে। জানে না, অতীতে কী ঘটত বা দেশের অন্যান্য রাজ্যে কী ঘটে চলেছে। একটা উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করার জন্য কোথাও কোথাও স্কুলপড়ুয়াদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনায় কাজে লাগানো উচিত।’