জুনিয়র ডাক্তাররা আবার লাগাতার কর্মবিরতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও তাঁদের দাবিদাওয়া মানা হবে না এমন কথা বলেনি রাজ্য সরকার। সব দাবি মানতে একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্যের আইনজীবী সমস্ত কাজ করতে একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন। তবে রাজ্যের নানা হাসপাতাল থেকে ‘থ্রেট কালচার’ করার অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ল স্বাস্থ্যভবন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে এই ‘থ্রেট কালচার’–এর প্রসঙ্গ উঠেছিল। তার পরই এই তদন্ত কমিটি গড়ল স্বাস্থ্যভবন।
এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষ করে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এই কমিটি। তাঁরা হলেন—রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল, ওই কলেজের প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা এবং কৌশিক কর। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যভবন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—স্বাস্থ্যভবনের চেয়ারপার্সন আইএএস সুদেষ্ণা গুপ্ত, এনআরএস হাসপাতালের অধ্যক্ষ পিতবরণ চক্রবর্তী, ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উৎপল দান, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মালিক এবং পিএসসি আরামবাগের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায়।
আরও পড়ুন: বন্যা ত্রাণে মোদী সরকার দিল ৬৭৫ কোটি টাকা, বিজেপি শাসিত তিন রাজ্য পেলেও বঞ্চিত বাংলা
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ‘থ্রেট কালচার’ সামনে আসতে শুরু করে। যা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার সরব হয়েছেন। একাধিক মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়টি নিয়েও সমাধান চান জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে পরিচিত দুটি নাম হল, বিরূপাক্ষ এবং অভীক। তাঁদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তেমন তদন্তও শুরু হয়েছে।