রাজ্য–রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বেশি চর্চিত বিষয় আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ড। এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মাঝে কেটে গিয়েছে ১৭ দিন। এই কদিনে তদন্তে নানা বাঁক এসেছে। আরজি কর হাসপাতালে টাকা খরচ করতে পারলে পছন্দমতো বদলি পাওয়া যেত বলে অভিযোগ। বদলির নামে বিপুল টাকা তোলা হয়েছে বলে তথ্য হাতে এসেছে সিবিআই অফিসারদের। আর তারপরই সিবিআই স্ক্যানারে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্তার নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। তবে সেই নাম এখনও প্রকাশ্যে আনেনি সিবিআই।
তবে এই মহিলা স্বাস্থ্যকর্তা অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করতেন। এমন তথ্যই পেয়েছে সিবিআই। সন্দীপ ঘোষের মদতেই এই বদলি হতো। তবে বদলি করিয়ে কেমন করে টাকা ভাগ করা হতো সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। এইসবই দুর্নীতির টাকা বলে তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সিবিআই এই বিষয়ে এগিয়ে যদি দেখে বড় টাকার দুর্নীতি রয়েছে তাহলে তা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে তুলে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে নয়াদিল্লিতে ইডি মামলা দায়ের করেছে। আর এখানে সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন ছাত্রদের হস্টেলে ‘নো–এন্ট্রি’ করতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ, জারি বিজ্ঞপ্তি
একন রোজ নিয়ম করে সকালে সিবিআই দফতরে আসেন সন্দীপ ঘোষ। আর রাতে বাড়ি ফিরে যান। গতকাল সিবিআই অফিসাররা আবার আরজি কর হাসপাতালে যান। হাসপাতালের স্টোর থেকে নানা তথ্য নেন সিবিআই অফিসাররা। তার আগে মর্গে যায় সিবিআই। সেখান থেকেও নানা তথ্য জোগাড় করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালের স্টোরের কম্পিউটার থেকে নানা তথ্য জোগাড় করেন তাঁরা। সেখান থেকে দাম সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নোট করেন বলে জানা গিয়েছে। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য পাচার নিয়েও তথ্য জানার চেষ্টা করেন সিবিআই অফিসাররা।