লালবাজার নিরাপত্তা বাড়িয়েছে রেড রোডে। প্রত্যেক বছর এখানে সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজ হয়। উপস্থিত থাকেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল–সহ একাধিক ভিভিআইপি। এই কারণে রেড রোড এবং সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখানে নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন দু’হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুলিশ।
মাঝ আর একটা দিন পার করলেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হবে দেশজুড়ে। তাই এখন থেকেই শহরের নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করছে লালবাজার। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে শুরু করে নানা দ্রষ্টব্য স্থানে নাকা চেকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ সম্প্রতি ভারতীয় জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি–সহ একটি উড়ো চিঠি ইমেল আকারে পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। তার পরই সুরক্ষা আরও জোরদার করতে নড়েচড়ে বসেন পুলিশ অফিসাররা। তবে শহরে নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নানা শপিং মল থেকে শুরু করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
এদিকে ২০২৪ সালের শুরুতেই কলকাতা পুলিশকে পাঠানো হুমকি ইমেলে উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমা মেরে জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড। যদিও কোনও বোমা মেলেনি তল্লাশি করে। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে লালবাজার। কারণ কোনও কিছু ঘটে গেলে তার ফল মারাত্মক হবে। ইতিমধ্যে লালবাজারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি থানাকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছাড়াও শপিং মল, জনবহুল স্থানে বাড়াতে হবে জোরদার নজরদারি। এমনকী একাধিক হোটেল–রেস্তোরাঁ এবং বারগুলিতে কারা আসছেন, কাদের আসার কথা আছে সব বিষয়গুলির তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
অন্যদিকে এখন রাজনৈতিক মিছিল–মিটিংও লেগে থাকছে শহরে। তাই সেদিকেও নজর রাখতে হচ্ছে। কারণ বাইরে থেকে লোক এসে যদি ওই মিছিলে ভিড় করে এবং কোনও ক্ষতি করে তাহলে সেটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ‘আমাদের নাকা চেকিং করতেই হয়। তাছাড়া এখন তো সাধারণতন্ত্র দিবস আসছে। তাই বাড়তি নজরদারি করতে হচ্ছে। শহরে একাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস আছে। গত কয়েকদিন ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নাকা তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।
তাছাড়া লালবাজার নিরাপত্তা বাড়িয়েছে রেড রোডে। প্রত্যেক বছর এখানে সাধারণতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজ হয়। উপস্থিত থাকেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল–সহ একাধিক ভিভিআইপি। এই কারণে রেড রোড এবং সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখানে নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন দু’হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী। সমগ্র রেড রোডকে বেশ কয়েকটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। সেখানে নজরদারি চালাবে সাদা পোশাকের পুলিশ। থাকছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই শহরে পথে নামবে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। বিশেষ জায়গা পুলিশের নজরে আছে। থানাগুলিকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পরীক্ষা করা হবে।