সাহিত্যের তত্ত্ব এবং দার্শনিক চিন্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কার পাচ্ছেন বাঙালি পন্ডিত অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গত বৃহস্পতিবার হলবার্গ কমিটি ২০২৫ সালের হলবার্গ পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে গায়ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে। এই পুরস্কার আর্টস এবং হিউম্যানিটিজের নোবেল হিসেবেও পরিচিত। এই সম্মান পাওয়ার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: চিনের থেকে নয়া হাঙর শ্রেণির সাবমেরিন পেল পাকিস্তান, ভারত কি চিন্তায় পড়বে?)
আরও পড়ুন: মুখ চেনা থেকে অনুবাদ- বিশ্বকে দিশা দেখিয়ে ফিজিক্সে নোবেল পেলেন দুই ‘প্রতিবেশী’
উল্লেখ্য, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের মূল্য ৫,১৫,০০০ ইউরো (৪.৬ কোটি টাকা)।আগামী ৫ জুন নরওয়ের বেরজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে সে দেশের যুবরাজ হাকোন তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন। এর আগেও একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ বছর বয়সি এই অধ্যাপক। তবে নিঃসন্দেহে এই পুরস্কার তাঁর অসংখ্য স্বীকৃতি ও সম্মানের মুকুটে নয়া পালক বলা চলে। (আরও পড়ুন: দিঘায় মুসলিমরাও যায়, জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি সেখানে মসজিদ তৈরি হোক: ত্বহা)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে তুলসির সঙ্গে বৈঠকে ডোভাল, গোপনে 'ভারত-বিরোধীদের' নিয়ে আলোচনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই খবর পাওয়া মাত্রই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অধ্যাপককে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে আরও একটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। এ বছর তিনি নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কারের জন্য তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এই পুরস্কার মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত। এই সর্বোচ্চ সম্মান অর্জনের মাধ্যমে তিনি আমাদের গর্বিত করেছেন। অধ্যাপক স্পিভাক সাহিত্য তত্ত্ব এবং দর্শনে তাঁর অবদানের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। তবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে দরিদ্র মানুষদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তাঁর সহযোগিতা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী রচনাগুলিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। এই মহান পণ্ডিতের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।’ (আরও পড়ুন: SC-র বিচারপতি হিসেবে শপথ জাস্টিস বাগচীর, ক'দিনের মেয়াদে ২০৩১-এ CJI হবেন তিনি?)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে আরও তদন্তের দাবিতে মামলা শুনতে পারবে HC? বড় নির্দেশ SC-র
উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক গায়ত্রী। প্রথমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বর্তমানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ে ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবীদের একজন হিসেবে ধরা হয় তাঁকে। তিনি ৯টি বই লিখেছেন। এছাড়াও, অসংখ্য বই সম্পাদনা বা অনুবাদ করেছেন। তিনি ৫০টিরও বেশি দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। এসবের পাশাপাশি তিনি প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য জেলা ও অন্যান্য দেশে সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রকল্প প্রতিষ্ঠা, অর্থায়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।