বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Power cut in Kolkata: যত ভুল মানুষের! AC-র ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কারেন্ট অফের দায় ঝাড়ল ‘এক নম্বর’ বাংলা
পরবর্তী খবর
Power cut in Kolkata: যত ভুল মানুষের! AC-র ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কারেন্ট অফের দায় ঝাড়ল ‘এক নম্বর’ বাংলা
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Jun 2023, 04:35 PM ISTAyan Das
জুনের শুরু থেকে গরম বাড়তেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকায় (সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম - দুই সংস্থার এলাকাতেই) নিত্যদিন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না। সেটার দায় মানুষ এবং এসির উপর চাপিয়ে দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
মানুষের দোষেই কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে বারবার কারেন্ট যাচ্ছে। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর দাবি, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুতের যে পরিমাণ লোড নেওয়া আছে, তার থেকে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ কেউ একটি এসি চালানোর মতো লোড নিয়েছেন। কিন্তু তিনটি এসি চালিয়ে দিচ্ছেন তিনি। যে প্রবণতা একাধিক বাড়িতেই চলছে। ফলে ট্রান্সফর্মারের উপর চাপ পড়ছে। পুড়ে যাচ্ছে ট্রান্সফর্মার। চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। তাঁর বক্তব্য, সরকার কড়া হলে তো ওভারলোডিংয়ের ঘটনা সামলে এলেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিতে হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, কতজনের বাড়িতে এসি আছে যে আমজনতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী?
জুনের শুরু থেকে গরম বাড়তেই কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকায় (সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম - দুই সংস্থার এলাকাতেই) নিত্যদিন কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না। প্রবল গরমে যখন হাসফাঁস অবস্থা, তখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বুধবার রাতেও শ্যামবাজার, বিধাননগর, পাটুলি, বেহালা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় কারেন্ট চলে গিয়েছিল। যা নিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
বিধাননগর পুরনিগমের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা সমাজকর্মী তুলিকা অধিকারী জানান, গরম বাড়তেই রোজ কারেন্ট চলে যাচ্ছে। সকালে যাচ্ছে। বিকেলে যাচ্ছে। সন্ধ্যায় যাচ্ছে। রাতে যাচ্ছে। কখনও কখনও রাতে ঠিক ঘুমানোর আগে কারেন্ট অফ হয়ে যাচ্ছে। দু'তিন ঘণ্টা পরে কারেন্ট আসছে। শুধু যে বিধাননগরে এরকম হচ্ছে, তা নয়। পাটুলি, বেহালা-সহ বিভিন্ন প্রান্তে এরকম দুর্বিষহ অবস্থা হয়ে উঠেছে। অসহ্যকর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বেহালার এক বাসিন্দা বলেন, ‘যখন-তখন কারেন্ট চলে যাচ্ছে। এই গরমে কীভাবে সহ্য করব?’
সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও জায়গায় (লোডশেডিং হচ্ছে না)। আপনাদের দুটি জিনিস বুঝতে হবে। আপনি যেটা লোডশেডিং বলতেন, (সেটা এখন প্রয়োজ্য হয় না)। লোডশেডিং বলতে (বোঝানো হয় যে) যখন বিদ্যুৎ ছিল না। আমার বিদ্যুতের তো কোনও ঘাটতি নেই। আমার সিস্টেমের সমস্যা। কেন সিস্টেমের সমস্যা? আপনি এক কিলোওয়াট লোড নিয়েছেন, একটি এসি ও একটি ফ্রিজের জন্য লোড নিয়েছেন। এবার আপনার প্রয়োজনে বাড়িতে তিনটি এসি লাগিয়েছেন, তিনটি ওয়াশিং মেশিন লাগিয়েছেন, আরও আনুষাঙ্গিক ইলেকট্রিক সরঞ্জাম লাগিয়েছেন। আপনি লোডটা বাড়ান। আমার ট্রান্সফর্মার তো একটাই। আমার ট্রান্সফর্মারে তো যতটা হিসাব করা আছে, ততটা লোড নিতে পারবে। যখন লোড বাড়ছে, তখন (ট্রান্সফর্মার) পুড়বেই।’
বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের কোনও অভাব নেই। আজকের দিনেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারতের মধ্যে এক নম্বর স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। আমরা যে শুধু ডিভিসিকে (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) হারিয়েছে, তা নয়। আমরা টাটা পাওয়ার, আদানি পাওয়ার, আম্বানি পাওয়ারকে হারিয়েছে। বিদ্যুৎ তো যথেষ্ট পরিমাণে আছে। যদি টেকনিক্যালের নিরিখে বলতে চান; সরকার এবং সিইএসসি কঠোর হলে ওভারলোডিংয়ের জন্য তো আপনার লাইনটা কেটে দিতে হবে। সরকার মানবিক সরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। আমরা বারবার অনুরোধ করছি যে আপনারা লোড বাড়িয়ে নিন। আপনার লোড বাড়ানোর জন্য আপনার পুরো অঞ্চলকে ভুগতে হচ্ছে। বিদ্যুতের কোনও অভাব পশ্চিমবঙ্গে নেই। আগামী ১০০ বছরেও অভাব হবে না।’