শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে চলেছেন সাধারণ যাত্রীরা। কাজের দিনেই হাওড়া ব্রিজ গাড়ির চাপে কার্যত স্তব্ধ হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের সৌজন্যে আজ থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হলে গতি কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে হাওড়া ব্রিজের উপর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। ছবি সৌজন্যে পিটিআই
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী–সহ একদল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শুক্রবার কলকাতায় আসছেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন হবে রাত পোহালেই ৩০ ডিসেম্বর। শহরে নেমে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম গন্তব্য হাওড়া স্টেশন। সেখান থেকে তিনি হাওড়া–জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন। তিনি নামবেন রেসকোর্স ময়দানের হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে কাজিপাড়া, ফোর–শোর রোড ধরে তাঁর হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে ওই রুটে আপত্তি জানিয়েছে নবান্ন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকেও ওই রুট নিয়ে কিছু আপত্তি তোলা হয়। তারপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যাত্রাপথে বদল ঘটে।
তাহলে কোন পথে যাবেন প্রধানমন্ত্রী? পরবর্তী সূচি ঠিক হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কনভয় রেসকোর্স থেকে রেড রোড, স্ট্র্যান্ড রোড ধরে হাওড়া ব্রিজ হয়ে হাওড়া স্টেশনে যাবে। কয়েক ঘণ্টার ঝটিকা সফরে রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় কোনও ক্ষোভ–বিক্ষোভের মুখে পড়ুক সেটা চায় না নবান্ন। সেরকম কোনও আশঙ্কা থেকেই আগের প্রস্তাবিত রুট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই কারণে ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে চলল তার মহড়া।
গোটা বিষয়টি ঠিক কেমন হবে? শুক্রবার সকাল ১১টায় হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ১১টা ৪৫ মিনিটে সেখান থেকে তাঁর বেরিয়ে যাওয়ার কথা। বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টারে রেস কোর্স পৌঁছনোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখান থেকে হাওড়া স্টেশনে রওনা দেওয়ার কথা তাঁর কনভয়ের। হাওড়া সেতু পেরিয়ে বঙ্কিম সেতু হয়ে মোদীর কনভয় পৌঁছবে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সে। তার ২৪ ঘণ্টা আগে আজ, বৃহস্পতিবার হাওড়া সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে তার মহড়া দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ–সহ অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা। রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স এবং দমকলও। আসলে সামান্য ঝুঁকিও নিতে চাইছে না নবান্ন।