রাজ্য–রাজনীতিতে শূন্যতা কাটেনি। সংসদীয় রাজনীতিতেও বাংলা থেকে কোনও ছাপ নেই। টিমটিম করে যে প্রদীপ জ্বলছিল উত্তর দমদমে সেটা নিভে গেল। সুতরাং বুক ভরা শূন্যতা বিরাজ করছে সিপিএমে। ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে ৩৪টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট উত্তর দমদম পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে যায়। কিন্তু ১৫ নম্বর ওয়ার্ড জিতেছিল সিপিএম। দীর্ঘ ৩ বছর ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সন্ধ্যা রানী মণ্ডল। এবার রবিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্ধ্যা রানী মণ্ডল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। ব্যস, টিমটিম করে জ্বলতে থাকা সিপিএমের প্রদীপ নিভে গেল।
এই ঘটনার পরই সিপিএমের একমাত্র কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতেই বড় সেটব্যাক হল আলিমুদ্দিনের নেতাদের। কারণ বিরোধী শূন্য হয়ে গেল উত্তর দমদম পুরসভা। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেল সিপিএম। যা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এখন আরও কঠিন। গতকাল উত্তর দমদম শহর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে নিমতা মাঝেরহাটির ভোটার তালিকা নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই উত্তম দমদম পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর সন্ধ্যারানি মণ্ডলের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন চন্দ্রিমাদেবী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: হুইপ জারির পরও সকলে উপস্থিত নন, কারা অনুপস্থিত? তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেই দলত্যাগী সিপিএম কাউন্সিলর জানান, তাঁর ওখানে থেকে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সকলের জন্য কাজ করার জন্য তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা। বিরোধী শূন্য হয়ে গেল উত্তর দমদম পুরসভা। একদা এই এলাকায় সিপিএমের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। শুধু তাই নয়, দাপট দেখাতেন সিপিএম নেতারা। এমনকী বছরের পর বছর উত্তর দমদম পুরসভা চালিয়েছে সিপিএম। কিন্তু মানুষ পরিষেবা পায়নি বলে অভিযোগ। তাই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর তখন থেকেই এই পুরসভা এলাকায় সিপিএমের শক্তি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়েছে। এবার সরাসরি শূন্যতা।