জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অশিক্ষক কর্মীরা। তাঁদের দাবি, তাঁদের বকেয়া টাকা মেটাতে হবে। কী কারণে তাঁদের বহিষ্কার করা হল, সে কথা জানাতে হবে। এদিন সকাল থেকে স্কুল গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন অশিক্ষক কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, ১১০ জন শিক্ষা কর্মীকে নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিন পোস্টার, ব্যানার হাতে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘স্কুলের ফিজ না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের পাওনা টাকা আটকানো যাবে না।’ একইসঙ্গে পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আমাদের সুবিচার চাই।’ স্কুল খোলার পর থেকেই বিক্ষোভকারীদের এই আন্দোলন চলছে। রবিবার ছুটির দিনেও তাঁদের এই আন্দোলন থেমে যায়নি।বিক্ষোভকারীরা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘করোনা পরিস্থিতিতে কোনও কারণ না দেখিয়েই রাতারাতি নোটিশ দিয়ে আমাদের বরখাস্ত করা হয়েছিল। কী কারণে আমাদের চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হল, জানাতে হবে। আমাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।’ এদিন বিক্ষোভকারীরা মৌন মিছিলে সামিল হন। উল্লেখ্য, শুধু জিডি বিড়লা স্কুলেই নয়, মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার স্কুল, অশোকা হল গ্রুপ অফ স্কুলেরও একই অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকদিন আগে মহাদেবী বিড়লা স্কুলে বকেয়া আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরাও। অভিযোগ, কোনও নোটিশ না দিয়েই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে অশোকা স্কুলে গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে ১১০ জনের চাকরি চলে যায়।