আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই নিয়ে এখন থেকেই রাজ্য–রাজনীতির পারদ চড়ছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বয়ং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আগের সম্মেলনগুলির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে রাজ্য সরকারকে বলেছেন। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করল। আর তাতে বিভিন্ন দেশের শিল্পপতিরা সাড়া দিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এমনকী মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ২৫টি দেশের কনসাল জেনারেল–সহ আধিকারিকরা আগ্রহ দেখিয়েছেন বাংলায় বিনিয়োগ করার জন্য।এই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন বলেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি। ইতিমধ্যেই শিল্পপতিদের নিয়ে একটি পৃথক সমন্বয় কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। আর পরিকাঠামো ক্ষেত্রের একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। যার মাথায় থাকছেন শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন পাখির চোখ শিল্প এবং কর্মসংস্থান। তাই রাজ্যে লগ্নি টেনে তিনি এখন মাস্টারস্ট্রোক মারতে চাইছেন। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই তা তিনি শুরু করতে চান। এই কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষা দফতরকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ পরিষেবা ক্ষেত্রের কমিটি। যার মাথায় রাখা হয়েছে হর্ষ নেওটিয়া–কে। পর্যটন কমিটির প্রধান করা হয়েছে রুদ্র চট্টোপাধ্যায়–কে। কৃষি কমিটির মাথায় থাকছেন সঞ্জীব পুরী। আর রফতানি কমিটির মাথায় থাকছেন শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া।উল্লেখ্য, এই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে লগ্নি টানতে মুখ্যমন্ত্রী বাণিজ্যনগরী মুম্বই সফরেও গিয়েছিলেন। সেখানের শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এবার মুখ্যসচিব এবং অর্থ দফতরের প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র কথা বলেছেন বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেলের সঙ্গে। বৈঠক হয়েছে জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স, আমেরিকা, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, ইজরায়েল–সহ একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।