এই আড়াই কিলোমিটার পাতালপথের মধ্যে পূর্ব–পশ্চিমমুখী টানেল কেটে মোট সাতটি ক্রস প্যাসেজ তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে আপদকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা যাবে। আপাতত তিনটির কাজ শেষ। তবে অতীত বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে আর ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে নারাজ আইটিডি।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পাতালপথে এসপ্ল্যানেড–শিয়ালদাকে জুড়তে গিয়ে বারবার বিপত্তি হয়েছে বউবাজারে। কারণ সেখানকার মাটির চরিত্র এই কাজের চাপ নিতে পারছে না। মাটির তলায় কাজ করতে গেলেই দুর্গা পিতুরি লেন, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরছে। সুতরাং এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া সংকট। বউবাজার এলাকার টানেলের ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে বেঁকে বসেছে নির্মাণকারী বেসরকারি এজেন্সি। তাই দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে শুরু হতে চলা এই মেট্রো প্রকল্পে নিয়ে অনিশ্চিয়তার বাতাবরণ তৈরি হয়। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জট কাটাতে পথে নামলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এবার কলকাতা–হাওড়া সংযোগকারী এই মেট্রো প্রকল্পের জট মুক্ত করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এলেন ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প পরিদর্শন করতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পরিদর্শন করেন বলে সূত্রের খবর। এদিন হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রলিতে চেপে মহাকরণ স্টেশন হয়ে এসপ্ল্যানেডে পৌঁছন তিনি। এভাবেই তিনি পাতাল পথে মেট্রো রুটের সার্বিক কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। এমনকী জট কাটাতে মেট্রো কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।