বিভিন্ন ঘাটতি থাকার কারণে এই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ২ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই আবার জরিমানা করা হয়েছে শিক্ষক চিকিৎসকদের জন্য বায়োমেট্রিক চালু না করার জন্য। বাংলায় ৭টি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে এই ঘাটতির অভিযোগে উঠেছে।
Ad
পরিকাঠামোগত ঘাটতি বাংলা-সহ দেশের বহু মেডিক্যাল কলেজে, জরিমানা করল NMC
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিকে বার বার নির্দেশ দিয়েছিল, ন্যূনতম পরিকাঠামোগত যে মাপকাঠি রয়েছে তা শোধরাতে হবে। তারপরেও দেখা যায়, একাধিক মেডিক্যাল কলেজে তা শোধরানো হয়নি। তার মধ্যে যেমন রয়েছে অপর্যাপ্ত ইন্ডোর বেড, ডাক্তারি ও রোগ নির্ণায়ক নানা যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির অভাব, অপর্যাপ্ত ক্লাসরুমের সংখ্যা। পাশাপাশি শিক্ষক চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়টিও রয়েছে। এই সমস্ত পরিকাঠামোগত ঘাটতির ভিত্তিতে একাধিক মেডিক্যাল কলেজকে জরিমানা করেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। সব মিলিয়ে দেশের ৭০৬ টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে ৫০০টি মেডিক্যাল কলেজকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলার ৭টি মেডিক্যাল কলেজ।
বিভিন্ন ঘাটতি থাকার কারণে এই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ২ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই আবার জরিমানা করা হয়েছে শিক্ষক চিকিৎসকদের জন্য বায়োমেট্রিক চালু না করার জন্য। বাংলায় যে ৭টি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে এই ঘাটতির অভিযোগে উঠেছে তার মধ্যে রয়েছে কলকাতার ৪টি মেডিক্যাল কলেজ।
মেডিক্যাল কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাদের তৈরি করা ন্যূনতম পরিকাঠামো যাকে বলা হয় ‘মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড রিকোয়ারমেন্ট’, সেই মাপকাঠি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে দেশের ৮০ শতাংশ মেডিক্যাল কলেজ। উল্লেখ্য, একটি মেডিক্যাল কলেজে ন্যূনতম মাপকাঠি কি হতে পারে? গত বছর তা ঠিক করে দিয়েছিল মেডিক্যাল কমিশন। সেক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন গত ঘাটতি থাকলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। কিন্তু, সেই নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ঘাটতি পূরণ না করায় শেষ পর্যন্ত জরিমানা করল মেডিক্যাল কমিশন।