বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে নবরূপে সজ্জিত কালীঘাট মন্দিরের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে চৈত্র সংক্রান্তির (সোমবার) সন্ধ্যায় কালীঘাট স্কাইওয়াক এবং হকার্স কর্নারের উদ্বোধনও করেন। তারপর নিজেই স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটে কালীঘাট মন্দিরে যান। এমনিতে প্রতি বছরই চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নিজের স্বপ্নের স্কাইওয়াক দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন। পুজো দেন মা কালীর কাছে।
আর সেই স্বপ্নটা যে অনেকদিন ধরেই দেখছিলেন, তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, যখন দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেছিলেন, সেদিনই মনে-মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে কালীঘাটেও একই কাজ করবেন। দক্ষিণেশ্বরে অনেক জায়গা ছিল। কিন্তু কালীঘাট অত্যন্ত জনবহুল জায়গা। ফলে সেখানে স্কাইওয়াক তৈরির কাজটা অত্যন্ত কঠিন ছিল। তবে সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেই স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, কালীঘাট মন্দিরকে যে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, তারও ৯৯ শতাংশ অর্থ খরচ করেছেন তাঁরা। কালীঘাট মন্দিরের ‘ছোট্ট একটু’ সোনার চূড়া তৈরি করেছে রিলায়েন্স গ্রুপ। বাকি প্রকল্পের অর্থ করেছে রাজ্য সরকার। মুকেশ আম্বানিরা সেই কালীঘাট মন্দিরের সোনার চূড়া তৈরি করতে চেয়েছিলেন। রাজ্য সরকার সেই আর্জিতে সায় দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কালীঘাট স্কাইওয়াক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১) রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কালীঘাট স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য হল ৪৩৫ মিটার। আর ১০.৫ মিটার চওড়া।
২) কালীঘাট স্কাইওয়াকে দুটি এসকেলেটর, তিনটি লিফট এবং তিনটি সিঁড়ি আছে।
৩) মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্দির চত্বরেই ডালার দোকান করা হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরে যেমন স্কাইওয়াকেই আছে ডালার দোকান আছে, সেরকম কালীঘাট স্কাইওয়াকে নেই। মন্দির চত্বরেই ডালা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কালীঘাট স্কাইওয়াকের মূল প্রবেশ ও প্রস্থান পথ
১) শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড।
২) হাজরা রোড।
৩) কালীঘাট রোড থেকে (মন্দির কমপ্লেক্স থেকে)।
আরও পড়ুন: Poila Boishakh 2025 Wishes: পয়লা বৈশাখে হোক শুভ সূচনা, এই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান শুভাকাঙ্খীদের
কালীঘাট স্কাইওয়াকের ফলে কী কী লাভ হবে?
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধন হওয়ায় ওই অংশের যানজটের সমস্যার অনেকটা সুরাহা হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মিত হওয়ায় নবকলেবরে গড়ে ওঠা কালীঘাট মন্দিরে পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া, কালীপুজো, গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে বছরভর আগত তীর্থযাত্রীরা কোনও যানজট ছাড়াই মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন।’ অর্থাৎ সার্বিকভাবে কালীঘা