ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আগামী ২০ মে দেশজুড়ে ধর্মঘট সফল করার ডাক দিল বামেরা। আজ, রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশ থেকে এই ডাক দেন সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু। এপ্রিল থেকে দেশে ধাপে ধাপে নয়া শ্রমবিধি কার্যকর করার কাজ চলছে। তার জন্য উদ্যোগ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও তার বিরোধিতায় সরব সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন। আর তাই আগামী ২০ মে ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে শ্রমিক নেতা অনাদি সাহুর কণ্ঠে এই ধর্মঘট সফল করার আহ্বান শোনা যায়।
এদিকে শ্রমজীবী মানুষের ডাকে আজকের ব্রিগেড বলে সমাবেশ থেকে সোচ্চার হন লালপার্টির নেতারা। অথচ তাঁদের নেতারাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপর ভরসা রেখেছেন। এখানে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। যদিও শ্রমিকদের স্বার্থে কোনও দিশা তিনি দেখাতে পারেননি। উল্টোদিকে দেশে গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। মোদী সরকার পুঁজিপতিদের স্বার্থে শ্রমজীবীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। বিজেপি দেশ বিরোধী অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে এসে মানুষের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে বলে সরব হন অনাদি সাহু। অথচ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনও দিশা তিনি দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘মুর্শিদাবাদের বাস্তব পরিস্থিতির রিপোর্ট দেওয়া হবে কেন্দ্রকে’, বার্তা দিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন
অন্যদিকে দেশে তীব্র বেকারি, বৈষম্য বাড়ছে। মানুষের জীবন–জীবিকা আজ প্রশ্নের মুখে বলে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সুর চড়ান সিটুর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু। তিনি বলেন, ‘মোদী সরকারের কর্পোরেট তোষণের জেরে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প আক্রান্ত। খাদ্যের অধিকার স্বাস্থ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সম্পদ লুঠ করে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। মানুষের সঙ্গে বেইমানি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’ মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘একটা সরকারের কাজ ট্রেন, বন্দর, ব্যাঙ্ক, বিমান, কলকারখানা চালানো। সেখানে সেগুলি বিজেপি সরকার আদানি আম্বানিকে দিয়ে এখন মন্দির–মসজিদ চালাচ্ছে।’