কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে কলসেন্টার চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আসলে সেগুলি বেআইনি কলসেন্টার। যেখান থেকে সহায়তা দেওয়ার নাম করে দেশ–বিদেশের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হতো। আর হাতিয়ে নেওয়া হতো কোটি কোটি টাকা বলে অভিযোগ। এই বেআইনি কলসেন্টারগুলিতে পুলিশ গিয়ে হানাও দেয়। তখন সেখান থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে অন্য জায়গায় অফিস খোলা হয়। বহু বেআইনি কলসেন্টার বন্ধ হলেও এখনও কিছু আছে বলে অভিযোগ। এবার গত পাঁচ বছরে কলকাতা পুলিশ এলাকার কোথায় বেআইনি কলসেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের ঠকানো হয়েছে লোকাল থানাগুলির কাছে সেই হিসাব চাইল লালবাজার।
হঠাৎ এমন হিসাব তলব করার জেরে কলকাতা শহরের সমস্ত লোকাল থানায় দৌড় শুরু হয়েছে। কারণ এই হিসাব চাওয়া যখন হয়েছে তখন দিতে তো হবেই। গত সপ্তাহে লালবাজারের পক্ষ থেকে শহরের সকল লোকাল থানাগুলির কাছে এই হিসাব চাওয়া হয়েছে। আবার এই কলসেন্টারগুলির ক্ষেত্রে যদি মামলা হয়ে থাকে তাহলে তার বিবরণ দিতেও বলা হয়েছে। এমনকী সেই মামলার এখন কি স্ট্যাটাস, সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। বেআইনি কলসেন্টারের বিরুদ্ধে হওয়া তদন্ত রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছিল। লোকাল থানাগুলির বেশিরভাগই সেই হিসেব পাঠিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: তিন রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের মৃত্যু শিলিগুড়িতে, বেঙ্গল সাফারি পার্কে তুমুল আলোড়ন
বেশ কয়েকটি থানায় দেশের এবং বিদেশের নাগরিকরা অভিযোগ জমা করেছেন। তা থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, অফিস খুলে রমরমিয়ে এই প্রতারণার কারবার চালানো হচ্ছে। বিদেশি নাগরিকদের ফোন করা হচ্ছে। আর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নাম করে নানা তথ্য জেনে নেওয়া হচ্ছে। তারপরই সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফাই করা হতো। এভাবে তাঁদের সর্বস্বান্ত করত প্রতারকরা। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছ থেকে নানা তথ্য পায় কলকাতা পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক বেআইনি কলসেন্টারে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কিছু সংখ্যককে।