শহরের বুকে সবুজ রক্ষার লড়াইয়ের মাঝেই বড়সড় অভিযোগ উঠল কলকাতা বন্দরের বিরুদ্ধে। অনুমতি ছাড়াই আলিপুর অ্যাভিনিউ এক্সটেনশন রোডের ধারে থাকা একাধিক বড় গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ সামনে এসেছে। গাছগুলোর মধ্যে ছিল মেহগনি, কদমের মতো প্রজাতিও। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে চেতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্য বন দফতরকেও। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র চাপেও বড় পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য, বেতন কাঠামোয় আসতে পারে বদল)
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলমহলের ঘন শাল বন, ৩০ বছরে হ্রাস পেয়েছে ৬০ শতাংশ: রিপোর্ট
আরও পড়ুন: মহিলাদের ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,কবে থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বাড়তি টাকা
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্রিজের নিচ দিয়ে যে রেললাইন ধরে মাঝেরহাট স্টেশনের দিকে রাস্তা গিয়েছে, তার পাশেই রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি। সেই জমিতেই ছিল বহু পুরনো গাছ। কিছু দিন আগেই সেগুলিকে কেটে ফেলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নজরে এনে অভিযোগ জানান পুরসভার কাছে। খবর পেতেই কলকাতা পুরসভা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, বন্দরের তরফে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, ওই জমি তারা লিজে দিচ্ছে, তাই পরিষ্কারের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। তাদের মতে, যেহেতু জমি নিজেদের, তাই অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় পুরসভা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শহরের যে কোনও অঞ্চলে বড় গাছ কাটতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হয় উদ্যান বিভাগ বা বন দফতরের কাছ থেকে। তাই আইন অমান্যের অভিযোগে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরকর্তারা। গাছ কাটার ঘটনার যাবতীয় তথ্য ও নথি বন দফতরে পাঠিয়েছে পুরসভা। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব এখন তাদের। (আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সংযোজন, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের)
আরও পড়ুন: ২৫% বকেয়া ডিএ ইস্যুতে রাজ্যকে চাপে ফেলার 'হাতিয়ারে' ধরা পড়ে ত্রুটি, তারপর...
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ৯ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান দেবলীনা বিশ্বাস বলেন, বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রথম খবর পান। খোঁজ নিয়ে দেখেন কোনও অনুমোদন নেয়নি বন্দর। এত বড় গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে নির্বিচারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যা করণীয়, সব করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। এমন ঘটনা হলে নিয়ম মেনেই হওয়ার কথা। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেখানে শহরের নানা প্রান্তে নতুন গাছ লাগানো, সবুজায়নের জন্য প্রচেষ্টা চলছে, সেখানে এই ধরনের আচরণে বিরক্ত মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। গাছ কাটা নিয়ে বন্দরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।