বিশাখাপত্তনমের একটি প্রতিষ্ঠানে ওই ছাত্রী ভর্তি হয়েছিল। সেখানে দ্বাদশ শ্রেণি এবং নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরীক্ষার আগেই রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ জুলাই।
ডামি ফেলে পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি
অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে একটি বেসরকারি হস্টেল রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে কলকাতার এক পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন মৃতের পরিবার। আগেই সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে মামলা রুজু করেছিল নেতাজিনগর থানার পুলিশ। কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে? তা জানতে বিশাখাপত্তনমে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই মধ্যে সেখানে ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের মতোই হস্টেলের বারান্দা থেকে ডামি ফেলে পুনর্নির্মাণ করেছে কলকাতা পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিশাখাপত্তনমের একটি প্রতিষ্ঠানে ওই ছাত্রী ভর্তি হয়েছিল। সেখানে দ্বাদশ শ্রেণি এবং নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরীক্ষার আগেই রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ জুলাই। রাত ১১টা নাগাদ হস্টেলের সুপার ফোন করে জানান ৪ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। খবর পেয়ে বিশাখাপত্তনমে চলে যান ছাত্রীর বাবা। দুদিন পরে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। কিন্তু, পরিবারের অভিযোগ, ওই হস্টেল থেকে ৮ ফুট দূরত্বে দেহ উদ্ধার হয়েছে। এক্ষেত্রে আত্মহত্যা হলে ৮ ফুট দূরে দেহ কেন পরে থাকবে? তাই নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছিল তারা।
এছাড়াও, হস্টেলের ঘরে মদ খাওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ওই ছাত্রী। প্রথম থেকেই ছাত্রীর পরিবার দাবি করে আসছে তাদের মেয়ে কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। ঘর থেকে মদের বোতল পাওয়ায় তাদের মেয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল। তাই প্রতিশোধ নিতেই তাকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছিল বলে তারা অভিযোগ তুলেছিল। এমনকী সেখানকার পুলিশও অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। এনিয়ে সেখানকার আদালতে মামলা করেছিলেন ছাত্রী বাবা। সেই সংক্রান্ত মামলায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সিসি ক্যামেরা ফুটে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরিবারের আরও অভিযোগ ছিল, তাদের মেয়ের ঠিকমতো চিকিৎসা করানো হয়নি।