এবার গরমটা খুব পড়েছিল গোটা রাজ্যে। ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছিল শহর থেকে গ্রামবাংলার মানুষজনকে। আর তখনই টের পাওয়া গিয়েছিল শহরে জলের সংকট। আর তাই কলকাতা শহরে আগামী ২৫ বছরের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে চান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জলসংকট নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানেই এই কথা বলেছেন মেয়র। শুক্রবার পুরসভার অধিবেশন হয়। সেখানে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর নিজের এলাকায় জলসংকটের কথা তুলে ধরেন। ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে ৯১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জলসংকটের কথা জানানো হয় মেয়রকে। আর তারপরই দ্রুত এই সমস্যা শহর থেকে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হলেন ফিরহাদ।
গ্রামবাংলার কিছু জায়গায় পানীয় জলের সংকট এবার মারাত্মক আকার নিয়েছিল। কিন্তু তিলোত্তমা কলকাতায় জলের সংকট কপালে ভাঁজ ফেলার মতো অভিযোগ। তার উপর আগামীকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যানদের হাজির হতে হবে। সেখানে থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সেই বৈঠকের আগে পানীয় জলের সংকট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘টালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া, যাদবপুর, গড়িয়ার মতো এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। ইতিমধ্যেই জয়হিন্দ জল প্রকল্প গড়ে উঠছে অতিরিক্ত জল উৎপাদনের জন্য। আবার ঢালাই ব্রিজের কাছে পানীয় জলের বুস্টারিং পাম্প তৈরি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হিমসাগর থেকে আম্রপালি আম পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মোদী–শাহ সহ আর কারা পেলেন?
নবান্নের বৈঠকে পুর–পরিষেবা এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে জলসংকট সমস্যা সামনে আসতে পারে। তাই আগাম মেয়র বিষয়টি জানিয়ে রাখলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই জল সংকটের নিয়ে মেয়রের বক্তব্য, ‘এই সব এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হতো গার্ডেনরিচ জল প্রকল্প থেকে। বেহালা থেকে পাইপের মাধ্যমে সেই জল ওই সমস্ত এলাকায় পৌঁছে যেত। কিন্তু গত ১৫ বছরে বেহালা এলাকায় বহু আবাসন তৈরি হওয়ায় বাসিন্দাদের সংখ্যা বেড়েছে। তাই এখন পানীয় জলের সংকট মেটাতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। ২৫ বছর পর যাতে কলকাতায় পানীয় জলের সংকট না থাকে তার জন্যই আমরা কাজ করছি।’