অবশেষে অনশন তুলে নিলেন চাকরিহারা তিন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে অনশন শুরু করেছিলেন তাঁরা। তবে পুলিশি বাধা এবং অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে অবশেষে আজ রবিবার দুপুরে ডাবের জল খেয়ে অনশন ভাঙেন তিন শিক্ষক। একইসঙ্গে ভবনের পাশে অবস্থানও স্থগিত রেখেছেন। তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিন শিক্ষক সুমন বিশ্বাস, প্রতাপ কুমার এবং পঙ্কজ রায়। (আরও পড়ুন: ডিএ মামলা ঘিরে তৈরি রহস্য, মিলবে সুখবর নাকি কপাল পুড়বে বাংলার সরকারি কর্মীদের?)
আরও পড়ুন: অনুমতি নেই, গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে চাকরিহারাদের অবস্থান তুলে দিল পুলিশ
আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রথমে এসএসসি ভবনের সামনে অনশন শুরু করেছিলেন পঙ্কজ রায়। পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সুমন বিশ্বাস এবং প্রতাপ রায়। আন্দোলনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অসহযোগিতা এবং বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের মাথার উপর কোনও ছাউনি দিতে দেয়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। এছাড়া, একটি বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের বাইক বাহিনী সেখানে দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকী খাবার জল দিয়ে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসলেও তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সুমন রায় জানিয়েছেন, বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা সিবিআইয়ের কাছে ইমেইল করে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ চেয়েছেন। সিবিআই ১৫ এপ্রিল তা তুলে দিতে রাজি হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলায় জেলায় আন্দোলন হবে। গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। (আরও পড়ুন: 'গ্রেটার বাংলাদেশ...', ধুলিয়ানের গ্রামগুলির পানীয় জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ভাগের কথা উঠতেই মৌলবাদীদের কড়া বার্তা সেনা প্রধানের? ওয়াকার বললেন…
উল্লেখ্য, অনশনের ফলে চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস গতকাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু, পুলিশের কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলেই অভিযোগ। ফলে তাঁর সতীর্থরা তাঁকে সল্টলেক সাব ডিভিশন হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক সুমনকে অনশন তুলে নিতে বলেন। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর ডানদিকের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। এরপরেই অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই জানান। এদিকে, ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এখনও চাকরিহারা শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীদের অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।